সংক্ষিপ্ত
নদিয়া হাঁসখালিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালির বাবা তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সমরেন্দ্র গয়ালিকে হেফাজতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাট, প্রভাব কাটানো-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে সমরেন্দুর বন্ধু পীযুষকেও।
নদিয়া হাঁসখালিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালির বাবা তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সমরেন্দ্র গয়ালিকে হেফাজতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাট, প্রভাব কাটানো-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে সমরেন্দুর বন্ধু পীযুষকেও। সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল এবং অন্য দুই ধৃত রঞ্জিত মল্লিক ওরফে লাদেন আর পোদ্দার জেরায় স্বীকার করেছে সমরেন্দুর ভূমিকার কথা।
শনিবার সমরেন্দু এবং পীযূষকে রাণাঘাট আদালতে তোলা হয়। সিবিআই-র তরফে ধৃতদের চারদিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়। সমরেন্দু এবং পীযুষকে ৪ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়। তবে বিচারক, সমরেন্দু এবং পীযুষকে ৩ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছেন। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করতে চান তদন্তকারীর দল।
আরও পড়ুন, বগটুইকাণ্ডে ফের মৃত্যু আরও ১ জনের, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০, সাতসকালে শোকস্তব্ধ গোটা বীরভূম
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, হাঁসখালিকাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত তথা সমরেন্দুর ছেলে ব্রজ গোপাল , লাদেন এবং প্রভাকরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সমরেন্দুর ছেলে ব্রজ গোপাল স্বীকার করে নিয়েছে, নির্যাতিতার দেহ দাহ করার সময় তাঁর বাবা শ্মশানে ছিলেন। ব্রজ গোপালের বক্তব্যে সায় দিয়েছে লাদেন এবং প্রভাকরও। পাশাপাশি নির্যাতিতার ওই পরিবারকে হুমকি দেয় সমরেন্দু বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। ধৃতদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে চাইছে সিবিআই।
আরও পড়ুন, ঝালদা খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তে রিপোর্টে 'অসঙ্গতি', সিবিআইয়ের নজরে এবার বিডিও
প্রসঙ্গত, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি।
ঘটনার পরেই শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। এবার সেই তালিকা এলেন মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালির বাবা তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সমরেন্দ্র গয়ালিও।