সংক্ষিপ্ত

সামশেরগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস সাংবাদিক সম্মেলন করেন আমিরুল ইসলাম। সেখানেই জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিধায়ক। 

প্রথমে তৃণমূলের জেলা সভাপতির (TMC District President) ডাকা বিজয়া সম্মিলনী বয়কট। তারপর প্রকাশ্যে দলীয় সাংসদের(MP) বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার(sharp attacks)। সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) জিতলেও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে বোমা ফাটালেন নবনির্বাচিত দলেরই সামশেরগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। এই ঘটনায় রীতিমতো জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমানকে তীব্র আক্রমণ করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন দলের বিধায়ক আমিরুল। সেক্ষেত্রে সদ্যসমাপ্ত সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান। সরাসরি এই অভিযোগ আনা হয় সাংসদের বিরুদ্ধে। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। জেলার ২০ বিধায়ক থেকে শুরু করে দুই মন্ত্রীর মধ্যে আমন্ত্রণ পেয়েও যাননি মুর্শিদাবাদের সাংসদ তথা মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান আবু তাহের খান, সভাপতি শাওনি সিংহরায়, জঙ্গিপুর সাংগঠনিক যুব সভাপতি হাবিব পারভেজ টনি। 

এর পরেই সামশেরগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সময় এসেছে দলের ভিতরে থাকা শত্রুদের চিহ্নিত করার। সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে আমাকে হারাতে সাংসদ ও সাংগঠনিক জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের পরিবার প্রকাশ্যে কাজ করেছে। তবু্ও জনগনের আর্শীবাদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমানকে জেতাতে খলিলুর রহমানের ছেলে, আপ্ত সহায়ক, তার সোশ্যাল মিডিয়ার পুরো টিম ও নূর বিড়ির সমস্ত কর্মচারী কংগ্রেসের হয়ে প্রকাশ্যে ভোট প্রচার করেছে। টাকা খরচ করেছে"। 

আমিরুল উদাহরণ দিয়ে আরও বলেন," সাংসদ খলিলুর রহমানের নিজের বুথ ৭২ নম্বরে তৃণমূল ভোট পেয়েছে মাত্র ৭২টি। ৭৫ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৮৩। যারা তৃণমূল প্রার্থীকে হারাতে প্রকাশ্যে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছে তাদের নিয়ে এখন বিজয়া সম্মেলন করা হচ্ছে। খলিলুর রহমানের এই দ্বিচারিতার জন্য আমি অনুষ্ঠানে যাইনি। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে"। 

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

পিরিয়ডসের সময় এই নিয়মগুলো মানেন তো, জেনে রাখা উচিত পুরুষদেরও

এদিকে পাল্টা সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ খলিলুর রহমান।আমিরুল ইসলামের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি সাংসদের। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “ আমার নামে অহেতুক মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। অবশ্যই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টি জানাবো"। 

তিনি আরোও বলেন,"আগস্টে জঙ্গিপুর নতুন সাংগঠনিক জেলা হিসাবে ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সাংগঠনিক জেলার মিটিং করা হয়েছে। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভার নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে দল ভাল ফল করেছে। এখানে কোন একক বিধায়কের করিশমা বলে কিছু নেই। সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমার নামে কুৎসা করছে"। 

এদিকে পুরো ঘটনায় দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় রীতিমতো সাফাই দিতে মাঠে নেমে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বকে ভবনে জানানো হবে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে নবনির্বাচিত ওই তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম এবার শাস্তির মুখে আসতে চলেছেন। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই দুই সদস্যের 'মনিটরিং কমিটি' তৈরি করে দাপুটে সাংসদ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে বিধায়ক আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে দল।