সংক্ষিপ্ত
- রায়গঞ্জে শিক্ষিকার দেহ উদ্ধারে কাঠগড়ায় নাবালিকা মেয়েরা
- দুই নাবালিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্য়ায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের
- জুভেনাইল জাস্টিস কোর্টে দুই নাবালিকাকে হোমে রাখার সিদ্ধান্ত
- নেশাতুর ছিল মেয়েরা দাবি করলেন স্থানীয় কাউন্সিলর
ছাড় পেল না মেয়েরা। রায়গঞ্জে শিক্ষিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের তদন্তে নেমে নাবালিকা মেয়েদেরই কাঠগড়ায় তুলল পুলিশ। সূত্রের খবর, দুই নাবালিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্য়ায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। এদিকে, জুভেনাইল জাস্টিস কোর্টে তোলার পর দুই নাবালিকাকে হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন :সরকারি বাসের চাকায় পিষ্ট তিনটি গরু, বানতলায় অভিযুক্ত চালক, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
রায়গঞ্জে শিক্ষিকা মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে নেমে রায়গঞ্জের দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা কল্পনা দে সরকারের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই ভাবছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে ছাড়া হচ্ছে না তাঁর দুই মেয়েকে। মায়ের মৃত্যুতে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্য়েই দুই নাবালিকার বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
অষ্ঠমীর দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন কল্পনা দেবী। শনিবারই রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়া পাতপুকুর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ক্ষত বিক্ষত দেহ। এরপরই মায়ের মৃত্যুর পিছনে মেয়েদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী। ঘর থেকে বের করে গণপিটুনি দেওয়া হয় মেয়েদের। পরে পুলিশ এসে নাবালিকাদের উদ্ধার করে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়েরা জানায়,মামার বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিল মা। তাই তাঁর আর খোঁজ করেনি তাঁরা। তবে দুই মেয়ের বয়ানে অসঙ্গতি চোখে পড়েছে এলাকাবাসীরও।
আরও পড়ুন : সেলিমকে পাল্টা তথাগতর,বিবেকানন্দ চাকরি না পেয়ে সন্ন্যাসী হয়েছিল
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর অসীম অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, অতীতেও মেয়েদের অত্যাচারের অতীষ্ঠ হয়ে তাঁর কাছে আক্ষেপ করেছিলেন কল্পনা দেবী। এমনকী মেয়েদের ব্য়বহার ভালো নয় বলেই বাড়িতে আসতেন না আত্মীয় স্বজনরা। বার বার মায়ের সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে মেয়েদের সঙ্গে বিবাদ বাঁধত মায়ের। তাই অন্য কেউ পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করলে এ বিষয়ে মেয়েদের বিরুদ্ধে তিনিই এগিয়ে আসবেন। কাউন্সিলরের অভিযোগ, দুই মেয়ে নেশাগ্রস্ত। শুধু ওরাই নয় এলাকায় যুব প্রজন্মের মধ্যে নেশা ঢুকে গেছে। আগেও প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে অভিয়োগ করেছেন তিনি। মূলত বর্তমান প্রজন্মকে প্রবীণদের সঙ্গে ব্য়বহারের রীতি শেখাতেই অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, মৃত কল্পনাদেবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ধৃতদের কর্নজোড়ায় জুভেনাইল বোর্ডের সরকারি হোমে রাখা হবে।