সংক্ষিপ্ত
সাতগাছিয়া নোদাখালির বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।খুব শীঘ্রই রাজ্যপুলিশের কাছে এই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত নথি হস্তান্তরের আবেদন জানানো হবে।
সাতগাছিয়া নোদাখালির বিস্ফোরণকাণ্ডে (Nodakhali satgachhia blasts)তদন্তভার (Investigation)নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। উল্লেখ্য, নোদাখালির অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই টুইটে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এনআইএ-র তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। আর তারপর পরেই ঘটনার মোড় ঘোরে। তদন্তের দায়িত্বভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ( NIA)।
সূত্রের খবর, তদন্তকারী দল গঠনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্য়েই শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই রাজ্যপুলিশের কাছে এই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত নথি হস্তান্তরের আবেদন জানানো হবে। এনআইএ সূত্রের দাবি, অবৈধ ওই বাজি তৈরির বাড়িতে ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল, যে এত তীব্র বিস্ফোরণ ঘটল, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তদন্তভার নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কারখানা মজুত করে রাখা বিস্ফোরকে কোনওভাবেই আগুন লেগেছিল। সেই কারণেই এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এদিন ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখান থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, Murshidabad Pension: পেনশনের টাকায় বার্ধক্য ভাতা চালু, নজির প্রাক্তন জওয়ানের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল আনুমানিক সোয়া আটটা নাগাদ বজবজ ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নোদাখালি থানার নস্কর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর, আর্য পাড়ার একটি অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। ঘটনায় বাড়ির মালিক ৪৮ বছর বয়সী অসীম মন্ডল সহ অসীম বাবুর মামি কাকুলি মিদদে এবং ওই কারখানার কর্মচারী অতিথি হালদার মারা গিয়েছেন। পুলিশ সুূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পৌছতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন নোদাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।কিন্তু বিস্ফোরণের পর প্রকাশ্য়ে এসে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সাতগাছিয়ার ওই অবৈধ বাজি কারখানা আদৌ বাজি তৈরিই হত না। তাহলে বিপুল পরিমাণ এই বাজি তৈরির মশলা কী কারণে বাড়ির মালিক মজুদ করেছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠছে প্রশ্ন।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের পরেই সরব হন শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'তৃণমূল স্থানীয় প্রশাসনের নের্তৃত্বে অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। উপরতলার নির্দেশে এসব থেকে সরে দাঁড়িয়েছে পুলিশও। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এখন বারুদের স্তূপে বসে আছে বলে এনআইএ-কে অবিলম্বে এবিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।' শাসকদলের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।