কেশপুরে ১৮ জন সামাজিক বয়কটের ডাক  অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে  'একঘরে না করার' অনুরোধ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর  'এটা অসহিষ্ণুতা নয়, ফ্যাসিবাদ', সরব সম্বিতও 


কেশপুরে ১৮ জন সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ওই তালিকায় যারা রয়েছেন তাঁদের অধিকাংশ বিজেপি কর্মী। ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপির। এদিন টুইটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, স্বপন দাশগপ্ত এবং সম্বিত পাত্র।

আরও পড়ুন, ২১-র জয়ের পর আজ প্রথম দলীয় বৈঠকে মমতা, গুরু দায়িত্ব পেতে চলেছেন কি তৃণমূলের যুবরাজ

এবার এবিষয়ে টুইটে প্রতিবাদ জানলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'অবাক করে দেওয়া ঘটনা। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করছি বাংলার সকল মানুষকে সুরক্ষিত রাখার এবং কাউকে একঘরে না করার জন্য। না হলে এটা খুব লজ্জাজনক হবে। পাশাপাশি সরব হয়েছেন স্বপন দাশগপ্তও। এই বয়কটের লিফলেটের জন্য তিনি শাসকদলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, এখানে সক্রিয় বিজেপি কর্মীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত এটা কর্মকর্তাদের মনোবল ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলা জন্যই এটা করা হয়েছে। পাশপাশা টুইটে তোপ দেগেছেন সম্বিত পাত্র। তিনি বলেছেন, এটা অসহিষ্ণুতা নয়, ফ্যাসিবাদ। মমতাকে নিশানা করে নৃশংসার দায়ভার ঠেলে দিয়েছেন তিনিও।

Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন, বিজেপি কর্মীদের বয়কটের হুশিয়ারি-পোস্টার, দেব-এর গ্রামে বিতর্কে তৃণমূল - কী বললেন তারকা সাংসদ

Scroll to load tweet…

প্রসঙ্গত, কেশপুরে বিরোধীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গ্রামের বিজেপির নেতাদের দোকান-বাজার বন্ধ করার ফরমান জারি করে নাকি এলাকায় লিফলেট ছড়ানো হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ। লিফলেটটি এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে। লিফলেটে মহিষদা গ্রামের বাসিন্দা বিজেপির ১৮ জন কর্মী-সমর্থকের পরিবারের নামে ফরমান জারি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলের অনুমতি ছাড়া এই ব্যাক্তিবর্গকে কোনও দোকানের কোনও পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। চা দোকানেও চা-ও বিক্রি করা চলবে না। দলের বিনা অনুমতিতে যদি এদেরকে কেউ কিছু বিক্রি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে , বিতর্কিত লিফলেটটিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ফরমান জারির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘাটালের তণমূল সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী কিন্তু সোশ্য়াল মিডিয়ায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই ধরণের ঘৃণার রাজনীতি পছন্দ করেন না।'

Scroll to load tweet…