সংক্ষিপ্ত
উত্তর চব্বিশ পরগণার দলীয় সংগঠন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাঁচ বিধায়ককে ভাগ করে দেওয়া হল পাঁচ লোকসভার দায়িত্ব। এই কেন্দ্র গুলিতে রাজনৈতিক বিষয়ে শেষ কথা বলবেন তাঁরাই।
উত্তর চব্বিশ পরগণায় পাঁচ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুই লোকসভা কেন্দ্রেই পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। হারতে হয়েছে ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনেও। আর তারপরই উত্তর চব্বিশ পরগণার দলীয় সংগঠনের হাল ফেরাতে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বন্দোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে সিদ্ধান্ত ঘোষণা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ ব্যারাকপুর এবং বনগা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনে খারাপ ফলের পর থেকেই তৃণমূলে দলীয় স্তরে বিভিন্ন জেলা-ভিত্তিক পর্যালোচনা চলছে। তারই অংশ হিসেবে উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় দলীয় সংগঠনের সমীকরণই বদলে দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এতদিন গোটা দলটাই চলত মমতা বন্দোপাধ্য়ায়ের একার নির্দেশেই। বিরোধীরা বলতেন মমতা ছাড়া তৃণমূলের বাকিরা ল্যাম্প পোস্ট। এদিন কিন্তু পাঁচ লোকসভার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হল পাঁচ বিধায়কের মধ্যে। শুধু তাই নয়, এই লোকসভাগুলির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে শেষ কথা বলার অধিকার দেওয়া হয়েছে এই পাঁচ বিধায়ককেই।
ব্যারাকপুর লোকসভায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের সংগঠন দেখভাল করবেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। আরেক পরাজিত কেন্দ্র বনগার দায়িত্ব দেওয়া হল গোবিন্দ দাসকে। এছাড়া বসিরহাটের দায়িত্বে সুজিত বসু, দমদমে তাপস রায়, এবং বারাসাতের ভার দেওয়া হয়েছে রথীন ঘোষকে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নির্দেশে এদিন দলের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।