সংক্ষিপ্ত

 রাজ্যমন্ত্রিসভার নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্য সরকার রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার জন্য বিধানসভায় নতুন বিল আনবে। অর্থাৎ আইন সংশোধন করতে চাইছে রাজ্য সরকার।  মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নন। এবার থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৃহস্পতিবার এমনই একটি প্রস্তাবে শিলমহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভা. বিল আনতে চলেছে রাজ্যসরকার।

বৃহস্পতিবার  ২৬ মে রাজ্যমন্ত্রিসভার নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্য সরকার রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার জন্য বিধানসভায় নতুন বিল আনবে। অর্থাৎ আইন সংশোধন করতে চাইছে রাজ্য সরকার।  মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 

রাজ্যপাল আর রাজ্যের সংঘাত এই রাজ্যে নতুন কোনও বিষয় নয়- দীর্ঘদিনের। বিশেষত জগদীপ ধনখড় এই রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে একাধিক বিষয় নিয় নবান্ন আর রাজভবনের মধ্যে সংঘাত বেধেছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও দুই পক্ষের সংঘাত বেধেছে। একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব করা নাম বাতিল করতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। পাল্টা রাজ্য সরকারও রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়াই বেশ আচার্যকে নিয়োগ করেছে। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। সেই আবহতেই রাজ্যের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও সূত্রের খবর।  

সূত্রের খবর ২০১০ সালেই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য চেয়ে একটি প্রস্তাব করিছিল একটি কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বা রাজভবন। 

বিজেপি সূত্রের খবর বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ হয়েছে অবৈধ ভাবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়েরগুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ বিজেপি। 

অন্যদিকে আগেই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি গত ১৬ জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে বলেছিলেন, শিক্ষার পরিবেশ শাসকের আই বা আইনের শাসন নয়। চ্যান্সেলরের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন কোনও নির্বাচন ছাড়াই তাঁকে চার বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। ১৭ অগাস্ট যোগাযগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। 

বিস্তারিত আসছে ...