সংক্ষিপ্ত

একের পর এক মৃতদেহ আটকে থাকায় চরম সমস্যায় নদী তীরবর্তী পরিবারগুলি। উদাসীন PHE দপ্তর বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

নদীতে (river) ভাসছে একের পর এক মৃতদেহ(corpse)। কোনও দেহ মানুষের (Human Deadbody) তো কোনটি আবার জীবজন্তুর(Animal Body)। তবে সমস্ত দেহ এক জায়গায় আটকে পড়ায় চরম দুরবস্থা এলাকাবাসীর। PHE দপ্তরের জল উত্তোলন কেন্দ্র লাগোয়া একের পর এক মৃতদেহ আটকে থাকায় চরম সমস্যায় নদী তীরবর্তী পরিবারগুলি। উদাসীন PHE দপ্তর বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এমনই ঘটনা সামনে এসেছে মালদার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর শংকরটোলা এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।

শংকরটোলা এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ফুলাহার নদী। এই নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত ভেসে যাচ্ছে একের পর এক মৃত মানুষ ও জীবজন্তুর দেহ। সে সব দেহ আটকে পড়েছে নদীর তীরে, PHE দপ্তরের জল উত্তোলন এলাকায়। দেহ আটকে পড়া চরম সমস্যায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী কয়েকশো পরিবার। দুর্গন্ধ ও একের পর এক দেহে পচন ধরায় কার্যত দুর্বিষহ অবস্থার রয়েছে এলাকাবাসী। PHE দপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী জানালেও উদাসীন মনোভাব রয়েছে দপ্তরের বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

পিরিয়ডসের সময় এই নিয়মগুলো মানেন তো, জেনে রাখা উচিত পুরুষদেরও

ফলে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে মৃতদেহগুলি সরিয়ে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। এই নদী লাগোয়া রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আর্সেনিকমুক্ত অপরিশোধিত পানীয় জল উত্তোলন কেন্দ্র। এই নদী থেকেই জল তুলে PHE দপ্তর গ্রামগঞ্জ শহর বাড়ি বাড়ি পৌঁছাচ্ছে। জল উত্তোলনের জন্য নদীতে যেটি বানানো হয়েছে। সেই যেটির চারিপাশ জুড়ে এখন মানুষ সহ জীবজন্তুর দেহ পড়ে রয়েছে। 

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, PHE দপ্তর এই নদী থেকেই জল তুলে সেই জল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে। আর গোটা পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে। মৃতদেহের দুর্গন্ধে এলাকাজুড়ে রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বারংবার PHE দপ্তরকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে দ্রুত প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এবং এই এলাকা থেকে মৃতদেহগুলি সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বলে দাবি এলাকাবাসী।

এদিকে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। কারণ রাজ্যের মধ্যে সেখানেই আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। তালিকায় তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৬ জন। তার মধ্যে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭২। যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪২।