সংক্ষিপ্ত

 নতুন বছরের উৎসবের রাতে মুর্শিদাবাদে দুর্ঘটনার বলি নাবালক স্কুলছাত্র। এদিকে  এরই মধ্যে নাবালক শাহীনের সঙ্গে বাইকে থাকা তার অপর স্কুলছাত্র বন্ধু  সাহাবুল শেখ সেই গুরুতর জখম অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে যায়।  

মধ্যরাতে চরম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদে। নতুন বছরের উৎসবের রাতে মুর্শিদাবাদে দুর্ঘটনার (Murshidabad Accident) বলি নাবালক স্কুলছাত্র ( School boy)। এদিকে গুরুতর জখম হয়ে নিখোঁজ তার সঙ্গীও।নতুন বছরের আনন্দ উৎসব পালন করতে বাইক নিয়ে লং ড্রাইভে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার দুই স্কুল পড়ুয়া। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাহিন আলমের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরই মধ্যে নাবালক শাহীনের সঙ্গে বাইকে থাকা তার অপর স্কুলছাত্র বন্ধু  সাহাবুল শেখ সেই গুরুতর জখম অবস্থায় নিখোঁজ (Missing) হয়ে যায়। এদিকে দুই নাবালকের আদৌ কোনও বৈধ গাড়ির লাইসেন্স না থাকার পরেও তারা কীভাবে গভীর রাতে বাইক নিয়ে বের হয়েছিল, উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনার  তদন্তে পুলিশ।

সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। বয়স ষোলোর গন্ডি পেরোননি এখনও। তাতেও খুব একটা পরোয়া নেই। দিব্যি শনিবার মধ্যরাতে নতুন বছরের আনন্দ উৎসব পালন করতে বাইক নিয়ে লং ড্রাইভে বেরিয়ে যায় মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী একডালিয়া বিরামপুর এলাকার দুই স্কুল ছাত্র। তারপরেই যা ঘটলো তা রীতিমতো চরম মর্মান্তিক। একদিকে সবেমাত্র বাইক চালানো শেখা। তারই মধ্যে রাতের রাজ্য সড়কে বেপরোয়া মালবোঝাই গাড়ির রমরমা। আরে এই দুই  এর ফলে চরম বিপত্তি ঘটলো। ঘন কুয়াশায় রাতের রাস্তার আলো খানিকটা ঝাপসা হয়ে এসেছে। ঠিক সেই সময়ই বহরমপুর জঙ্গিপুরগামী রাজ্য সড়কের যশই তলা মোড়ের কাছে বিকট আওয়াজ শুনে বাড়ি থেকে আশেপাশের মানুষজন ছুটে বেরিয়ে আসে। তারপরেই সকলে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র শাহিন আলমের দেহ। শেষ পাওয়া খবরে জানা যায় প্রথমে তাকে চেনা না গেলেও পরে বোঝা যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর মাধ্যমে বালুটুঙ্গি হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র শাহিনের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে সেখানে।এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করে।

অপরদিকে, এরই মধ্যে নাবালক শাহীনের সঙ্গে বাইকে থাকা তার অপর স্কুলছাত্র বন্ধু  সাহাবুল শেখ সেই গুরুতর জখম অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে যায়। তার কোনও হদিস মেলেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সড়কের ওপর দাপিয়ে বেড়ানো পিছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি বেপরোয়া খড় বোঝাই চার চাকার গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে ওই নাবালকদের বাইকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাহিন আলমের। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একদিকে দুই নাবালকের আদৌ কোনও বৈধ গাড়ির লাইসেন্স না থাকার পরেও তারা কীভাবে গভীর রাতে বাইক নিয়ে বের হয়েছিল । পাশাপাশি রাজ্য সড়কে পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে অবাধে কীভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া মাল বোঝাই গাড়ি, যদিও এই নিয়ে পুলিশের পক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।