সংক্ষিপ্ত

সময় যত যাচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির তালিকা। কোনওটা নামে কোনওটা আবার বেনামে। এবার পার্থ অর্পিতার নামে একটি সংস্থার সন্ধান পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যার নাম 'অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস'।

সময় যত যাচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির তালিকা। কোনওটা নামে কোনওটা আবার বেনামে। এবার পার্থ অর্পিতার নামে একটি সংস্থার সন্ধান পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যার নাম 'অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস'। এবারও সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছে শান্তিনিকেতনের বাড়ির মত এটাই অর্পিতা আর পার্থর নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা হয়েছে? যাইহোক এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তোরর পাওয়া যায়নি। 

ইডি সূত্রের খবর 'অপা ইউটিলিটি'র ১০০ শতাংশের শেয়ারের হোল্ডার মাত্র দুই জন। একজন পার্থ অন্যজন অর্পিতা। দুজনের নামেই রয়েছে ৫০ শতাংশ করে শেয়ার। এই সংস্থার নামে আবার চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এই সম্পত্তি বা সংস্থা সম্পর্কে বিষদে তথ্য পেতে মরিয়া চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।  এপর্যন্ত অর্পিতার নামে  মোট পাঁচটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। আর পেয়েছেন  দুজনের অঢেল সম্পত্তির  হদিশ। 

অন্যদিকে এদিন কলকাতা হাইকোর্টকে ইডি জানিয়েছেন তাঁরা অর্পিতার বেশ কিছু জীবনবীমার সন্ধানও পেয়েছেন। যারমধ্যে ৩১টির নমিনিতে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাম।  ইডির দাবি এই তথ্য থেকেই পরিষ্কার যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। তাই অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস সন্ধান যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানা তা নিয়েও ইডির অন্দরে কোনও দ্বিমত নেই। তবে অর্পিতা পা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় যে তদন্তকারীদের তেমনভাবে সাহায্য করছে না তা এদিনও স্পষ্ট করে আদালতে জানিয়ে দেন। আপাতত দুই জনকে আরও ২ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

বুধবার সকাল থেকেই বেশ স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। যার মধ্যে রয়েছে শান্তিনিকেতনের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি 'অপা'। সেখানে মাটি খুঁড়তে শুরু করে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাতেই অনেকেই মনে করছেন টালিগঞ্জ বা বেলঘরিয়ার মত এখানেও প্রচুর টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অনুমন  করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইডি সূত্রের খবর অপা-র বাগানে দুই রকম মাটি রয়েছে। যা দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাগানের মাটি খুঁড়ে খতিয়ে দেখা হোক প্রয়োজনীয় কিছু নথি বা টাকাপয়সা পুঁতে রাখা হয়েছে কিনা।