সংক্ষিপ্ত
শান্তিনিকেতনের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি 'অপা'। সেখানে মাটি খুঁড়তে শুরু করে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাতেই অনেকেই মনে করছেন টালিগঞ্জ বা বেলঘরিয়ার মত এখানেও প্রচুর টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অনুমন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
টালিগঞ্জ আর বেলঘরিয়ার মত অপাতেও কি রয়েছে গুপ্তধন। সেই জল্পনা আরও উস্কে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি পদক্ষেপ। বুধবার সকাল থেকেই বেশ স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। যার মধ্যে রয়েছে শান্তিনিকেতনের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি 'অপা'। সেখানে মাটি খুঁড়তে শুরু করে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাতেই অনেকেই মনে করছেন টালিগঞ্জ বা বেলঘরিয়ার মত এখানেও প্রচুর টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অনুমন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইডি সূত্রের খবর অপা-র বাগানে দুই রকম মাটি রয়েছে। যা দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাগানের মাটি খুঁড়ে খতিয়ে দেখা হোক প্রয়োজনীয় কিছু নথি বা টাকাপয়সা পুঁতে রাখা হয়েছে কিনা।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থ ও অর্পিতার বিলাশ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আর সেই কারণে এদিন সকাল থেকে তল্লাশি শুরু হয়। বুধবার সকালেই ইডির একটি দল অপা-তে হানা দেয়। তারা প্রতিটি ঘর খতিয়ে দেখেন। সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি ঘরে তালাও ভেঙে ফেলা হয়। তারপরই তদন্তকারীদের নজরে পড়ে বাগানের মাটির রং। তারপরই শুরু হয় খোঁড়াখুড়ি। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ।
শান্তিনিকেতনের ১০ কাঠা জমির ওপর তৈরি বাগান বাড়ির মালিক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন। তেমনই জানিয়েছেন বীরভূমের বোলপুর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব অধিকারিকরা। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে রাশি রাশি টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই সামনে এসেছিলেন বীরভূমের এই বিশাল সম্পত্তির কথা। বাড়ির নাম দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল বাড়িতে পার্থ আর অর্পিতার যৌথ সম্পত্তির তালিকার মধ্যেই পড়ে। কারণ তদন্তকারী সংস্থার অধিকারিকদের অনুমান পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। আর সেই কারণেই শান্তিনিকেতনের বিশাল সম্পত্তি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।
অন্যদিকে টালিগঞ্জ আর বেলঘরিয়ায় অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫১ কোটি টানা নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। মনে করা হচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই টাকার। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনার গয়না, সোনার বাঁট, বিদেশী মুদ্রা, প্রচুর নথিপত্র আর দুটি ডায়েরি। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলা ভাগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, বিক্ষোভে নদীয়ার শান্তিপুরে স্থানীয়রা
টাকা কার? প্রশ্ন করতেই দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলেন পার্থ- নীরব অর্পিতা