সংক্ষিপ্ত
- হুগলির বাণী মন্দির স্কুলে মিড ডে মিল বিভ্রাট
- ছায়ে দুর্নীত্রীদের সেদ্ধ ভাত দেওয়ার অভিযোগ
- লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হানার পরে সাসপেন্ড দুই শিক্ষিকা
- মিড ডে মিল নিতি বরদাস্ত নয়, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
একদিনের মধ্যেই চুঁচুড়ার বাণী মন্দির স্কুলের ছাত্রীদের পাতে ফিরল সেদ্ধ ডিম। মঙ্গলবার হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় হানা দিয়ে স্কুলের মিড ডে মিল বিভ্রাটের ঘটনা হাতেনাতে ধরার পরেই তৎপর হয়েছিল জেলা প্রশাসন। তার পরেই ছাত্রীদের মিড ডে মিলে বরাদ্দ সব পদ যাতে থাকে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, মি়ড ডে মিল নিয়ে কোনওরকম বেনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার হুগলির ওই স্কুলে আচমকা হানা দিয়ে হুগলির সাংসদ দেখেন, ছাত্রীদের শুধুমাত্র সেদ্ধভাত খেতে দেওয়া হয়েছে। গত একমাস ধরেই এমনটা চলছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয় জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা দফতরেও শোরগোল পড়ে যায়। এর পরেই প্রাক্তন ও বর্তমান টিচার ইন চার্জ শমিতা কুশারি এবং পূর্বা মুখোপাধ্যায়কে ওই দিন রাতেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যান চুঁচুড়া সদরের মহকুমা শাসক অরিন্দম বিশ্বাস। তিনি দীর্ঘক্ষণ স্কুলের শিক্ষিকা এবং পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে বিকাশ ভবনে শিক্ষা দফতরেও বৈঠক ডাকেন শিক্ষা দফতরের সচিব। তার পরেই এ দিন দুপুর থেকে ছাত্রীদের মিড ডে মিলে সেদ্ধ ডিম পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন- মিড ডে মিলে নুন ভাত, লকেটের আচমকা হানায় সাসপেন্ড দুই শিক্ষিকা
জেলাশাসক ওই রত্নাকর রাও জানান, শিক্ষা দফতর থেকেই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এই স্কুলের মিড ডে মিল সংক্রান্ত হিসেব যতদিন না পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে,ততদিন পুরসভার তহবিল থেকেই সমস্ত পদ দিয়েই ছাত্রীদের খাবার দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে জেলার এক হাজার স্কুলে মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখবে জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, স্কুলের ভিতরে সিসিটিভি বসিয়েও মিড ডে মিল বেনিয়ম বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক।
অন্য দিকে মিড ডে মিল বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দ খাবার নিয়ে কোনওরমক অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। এমন ঘটনা আটকাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে মুখ্য়মন্ত্রীরও কড়া নির্দেশ রয়েছে বলে জানান পার্থবাবু। একই সঙ্গে অবশ্য, কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিলের জন্য প্রাপ্য অর্থ আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, 'যাঁরা স্কুলে হানা দিচ্ছেন তাঁদের বলব পতাকা দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে বিষয়টি দেখুন।'