সংক্ষিপ্ত
- গত লোকসভায় রেকর্ড ভোটে পুরুলিয়ায় জিতেছিল বিজেপি
- শাসকদলের কপালে রীতিমতো ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল পদ্মশিবির
- কিন্তু সেই পদ্মশিবিরেই এখন দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে
- বিজেপি ছেড়ে সেখানে নিচুতলার কর্মীসমর্থকরা তৃণমূলে ভিড়ছে
লোকসভায় যে জেলায় দু-লাখ ভোটে শাসকদলের প্রার্থীকে হারিয়ে নজির তৈরি করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী, সেই জেলায় এবার বিজেপি ছাড়ার ঢল নেমেছে। পুরুলিয়ায় এখন হাওয়া ঘুরছে তৃণমূলের দিকেই। শনিবার রাতে বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি তুলিন গ্রামের অমিত কুমার দে-সহ দলের একাধিক বিজেপি সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। আর, তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো।
এছাড়াও রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাবলি বাউরি ২০ টি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা ধরিয়ে দলে যোগদান করান রঘুনাথপুরের বিধায়ক তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। এই নিয়ে গত কয়েকমাসের মধ্য়েই বিজেপির বহু নেতা-কর্মী শাসকশিবিরে এসে ভিড়লেন।
কিন্তু কেন?
মনে করা হচ্ছে দলীয় নেতৃত্বই এর জন্য় দায়ী। লোকসভা ভোটের আগে যে জ্য়োতির্ময় সিং মাহাতোকে কেউ চিনতোই না, রেকর্ড ভোটে জেতার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এখন নিরাপত্তারক্ষীদের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নিচুতলার কর্মীদের পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, দলের মেজ-সেজ-ছোট নেতাদের ঔদ্ধত্য় যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে রীতিমতো অসম্মানিত বোধ করছেন দলের কর্মীরা। এমনকি, পুলিশি ধরপাকড়ের মুখে কর্মীরা যখন ঘরছাড়া, তখনও নেতাদের ফোন করলে তাঁরা ফোন ধরারও প্রয়োজন বোধ করছেন না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায়, রাতারাতি বিজেপির দুর্গে পরিণত হওয়া পুরুলিয়ায় এখন পদ্মশিবির ছেড়ে ঘাসফুলে আসার ঢল নেমেছে। তাছাড়া লোকসভায় জেতার কৃতিত্ব নিচুতলার কর্মীদের ওপরও দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব।