সংক্ষিপ্ত

  • ঘন লোডশেডিং হয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
  • খোলা আকাশের নিচে বিকল জেনারেটর
  • টর্চ ছাড়া ভর্তি নেওয়া হয় না রোগীদের
  • বীরভূমের মল্লারপুরের ঘটনা
     

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  জেনারেটরে ভরসা নেই, যখন তখন বিকল হয়ে যেতে পারে।  অন্ধকারে সাপের কামড় থেকে বাঁচতে টর্চ লাইট সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় রোগীদের! আর চিকিৎসকদের ভরসা মোবাইলের আলো! স্বাস্থ্য পরিষেবার এমনই বেহাল দশা বীরভূমের মল্লারপুরে।

আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলের পুরনো মামলায় ছত্রধর মাহাতোকে টানা জেরা করল এনআইএ

জানা গিয়েছে, বীরভূমের মল্লারপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া। দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে, তাঁকে প্রথমে ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই আনা হয়। কিন্তু ঘটনা হল, হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে সমস্যায় জেরবার রোগী থেকে চিকিৎসক সকলেই। দিনে কতবার যে লোডশেডিং হয়, তার ইয়ত্তা নেই! হাসপাতালে জেনারেটার থাকলেও, বেশিরভাগ সময়েই সেটি চলে না বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসর মিজান সরকার বলেন, 'নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। টর্চ কিংবা মোবাইলে আলো জ্বলে চিকিৎসা করতে হচ্ছে। আশেপাশে জঙ্গল থাকায় সাপের উপদ্রবও আছে।' পরিস্থিতি এমনই যে, ভর্তি হওয়ার সময়ে রোগীদেরও সঙ্গে টর্চ লাইট রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: নিজের ভাইকে পিটিয়ে খুনের পর পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

কেন এমন হাল? মল্লারপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ শিবায়ন রায় বলেন, 'আলাদা কোনও খবর না থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে বারবার জেনারেটারটি বিকল হয়ে যায়। মিস্ত্রি ডেকে সারিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সদুত্তর পায়নি।' রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালের ডেপুটি সিএমওএইচ (২) স্বপন ওঝা-এর বক্তব্য.  'বিষয়টি আমার জানা নেই। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বদলি হয়ে গিয়েছেন। নতুন যিনি আসবেন তিনি এখনও দায়িত্ব বুঝে নেননি। সপ্তাহখানেক পর এনিয়ে খোঁজখবর নেবেন।'