সংক্ষিপ্ত

প্রচন্ড ঠান্ডায় কেন্দ্রীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উদ্যোগেই দিন ফিরতে চলেছে সীমান্ত শহর মুর্শিদাবাদের লালগোলার প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদের। রীতিমতো রাজনৈতিক রঙ বাদ দিয়ে, বিএসএফের উদ্যোগেই এখন থেকে পরিশ্রুত পানীয় জল পাবেন লালগোলার একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

একদিকে যখন রাজ্য সরকার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাজের সীমানা বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কামান দাগছন, ঠিক তখনই একেবারে বিপরীত ছবি দেখা যাচ্ছে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদে! একেবারে তাই। প্রচন্ড ঠান্ডায় কেন্দ্রীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) উদ্যোগেই দিন ফিরতে চলেছে সীমান্ত শহর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলার (lalgola) প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদের (Common People)। রীতিমতো রাজনৈতিক রঙ বাদ দিয়ে, বিএসএফের উদ্যোগেই এখন থেকে পরিশ্রুত পানীয় জল পাবেন লালগোলার একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

বি এস এফের 'সিভিক অ্যাকশান প্রোগ্রাম' কর্মসূচি রূপায়নের ফলে ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের আর দূষিত জল পান করতে হবে না বলে জানিয়ে দেন ৩৫ ব্যাটেলিয়ানের ডেপুটি কমান্ডেন্ট। তিনি বলেন, “সিভিক অ্যাকশান কর্মসূচির মাধ্যমে বিএসএফ সীমন্তের নাগরিকদের কল্যাণে কাজ করে। এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা আছে জানতে পেরে আমরা এলাকার রেনু ক্যাম্পে একটি পরিস্রুত পানীয় জলের প্ল্যান্ট নির্মাণ করি । ওই প্ল্যান্ট থেকে বাসিন্দারা বিনামূল্যে তাদের প্রয়োজন মত জল সংগ্রহ করতে পারবেন ।” বিএসএফের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় নাগরিকরা ।

জেলার গঞ্জ শহর লালগোলা। এর উত্তর প্রান্তে প্রায় সমতল ভূমিতে রয়েছে ইন্দো বাংলা সীমান্ত। ইতিমধ্যে ওই সীমান্তের বেশীর ভাগ অংশ কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হলেও, পদ্মা নদীর কারনে কিছু অংশ এখনও ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। ফলে সীমান্তের কিছু কিছু সমস্যার কারনে কখনও সখনও বিএসএফকেএকটু কড়া মনোভাব প্রদর্শন করতেই হয়। ফলে বিএসএফ মানেই যে আতঙ্ক, নাগরিকদের সেই ধারনা দূর করতে সিভিক অ্যাকশান প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলেমিশে জওয়ানরা বিভিন্ন কল্যাণকর কাজ করে চলেছে। তার মধ্যে দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, যুব সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত খেলা ধুলার চর্চা, রোগীদের মূলত প্রসূতিদের হাসপাতালে পৌঁছান প্রভৃতি।

এবার লালগোলা এলাকার রেনু ক্যাম্পে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করে জনতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম গড়ে তুলল বি এস এফ। সেই সঙ্গে এলাকার মানুষকে এখন থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যাবস্থাও করা হল। এই ব্যাপারে স্থানীয় লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, “বিএসএফের এই উদ্যোগের ফলে এলাকার মানুষ রেনু ক্যাম্প থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল পেতে পারবেন। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এই উদ্যোগ অভিনন্দন যোগ্য'। 

পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় গাবতলা, বালিগ্রাম, বোরবোন,বিশ্বনাথপুর,দেশোয়ালী পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে । এই ব্যাপারে এলাকার নাজিম হোসেন, মহম্মদ উস্তার আলি, সুজয় মন্ডলরা বলেন , “এতদিন আমরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছিলাম। বি এস এফের তৎপরতায় সেই সমস্যা দূর হতে চলেছে।”