মোদীর ট্যুইটে নাম নেই মমতার কেন্দ্রের পাশে থাকার আশ্বাস বার্তায় নাম নেই বাংলার মমতা বৈঠকে না থাকায় কড়া সমালোচনা বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা 

ফের বঞ্চিত বাংলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে থাকার আশ্বাস বার্তায় নামই উল্লেখ করা হল না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার বদলে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে না থাকায় মমতার কড়া সমালোচনা করলেন শিবরাজ সিং চৌহান থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রত্যেকে। শনিবার সকালেই ট্যুইট করে ওডিশার পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। 

Scroll to load tweet…

এদিন তিনি বলেন ভুবনেশ্বরে অত্যন্ত সফল বৈঠক হয়েছে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয়ে সাইক্লোন যশের আঘাতে ক্ষতি মোকাবিলা করা হবে। কেন্দ্র সবরকম ভাবে ওডিশার সঙ্গে রয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বরাবরই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এসেছে ওডিশা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার রাজ্যের পাশে রয়েছে কেন্দ্রও। 

এদিনের ট্যুইটে কোথাও নাম ছিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি শিবিরের দাবি শুক্রবারের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী না থাকাতেই প্রধানমন্ত্রী নাম নেন নি মমতার। তবে বাংলার পাশে থাকার আশ্বাসটুকুও এবার জুটল না বলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মমতার এই আচরণের কড়া নিন্দা করেছেন বিভিন্ন বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। শিবরাজ সিং চৌহান থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা-প্রত্যেকের বার্তায় মমতার বিরুদ্ধে বক্তব্য ফুটে উঠেছে। 

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…

এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও। 

Scroll to load tweet…

কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের দাবি আধ ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আসেননি। তারপর, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বৈঠকের ঘরে যেন আছড়ে পড়েছিল মমতা ঝড়। এক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মকর্তার মতে 'এমন এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আচরণ করলেন, তা শোচনীয় এবং নিম্ন মানের ক্ষুদ্র রাজনীতির প্রতীক'। 

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ না দিয়ে, তাঁকে শুধু বাংলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ধরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও, কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে এর আগে কখনও কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মতো উচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারীদের সঙ্গে এমন কুৎসিত, অসম্মানজনক ও অহঙ্কারী আচরণ করেননি। সূত্রের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণ একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি কেন্দ্র।