সংক্ষিপ্ত
- বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু
- বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই কামড়
- সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন
- যদিও চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু
কামড়ালে সহজে বোঝা যায় না। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু অনিবার্য। এহেন বিষধর কালাচের কামড়ে জীবন গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার নারুয়া গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব বেরার। বছর পঞ্চাশের জয়দেববাবু নিজের বাড়িতেই সোমবার রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। বুঝতে পারেননি তাঁর ঘরে আস্তানা গেড়েছ এক বিষধর সাপ। গভীর রাতে ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় জয়দেববাবুর মনে হয় হাতে কিছু একটা কামড়ে দিয়েছে। তবে ঘুমন্ত অবস্থায় তেমন গুরুত্ব দেননি তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই জয়দেব বেরার অন্য হাতে কামড় বসায় সাপটি। দুই হাতে জ্বালা যন্ত্রনা শুরু হতেই উঠে বসেন জয়দেব। আলো জ্বালাতেই দেখতে পান ঘরের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি বিষধর কালাচ। বিষয়টি বুঝতে পেরেই অন্যদের ঘুম থেকে তোলেন জয়দেব বেরা। তৎক্ষনে ভয়ে ও যন্ত্রনায় আর্তনাদ শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
রাতেই পরিবারের লোকজন প্রথমে জয়দেব বেরাকে নিয়ে হাজির হয় চন্দ্রকোনা গ্রামিণ হাসপাতালে। সঙ্গে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বিষধর সাপটিকেও। কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি জটিল মনে হওয়াতে রেফার করে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যদিও এতকিছুর পর শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন জয়দেব বেরা।