সংক্ষিপ্ত
- শিলিগুড়ির মহকুমা পরিষদ দফতরের ঘটনা
- গাছে মগডালে চড়ে বসেন বৃদ্ধা
- বৃদ্ধাকে নামাতে দিশেহারা পুলিশ, দমকল
- শেষ পর্যন্ত নিজে থেকেই নেমে আসেন বৃদ্ধা
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের এক কোণে থাকা কাঁঠাল গাছের মগডালে আচমকাই উঠে বসলেন ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। ঘণ্টা দুই সময় ঠাঁই বসে রইলেন সেখানেই। এদিকে বৃদ্ধার এমন কাণ্ডে রীতিমতো ছোটাছুটি শুরু করে দেন মহকুমা পরিষদের কর্মী এবং আধিকারিকরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বৃদ্ধা নিজেই গাছ থেকে নেমে এসে সবাইকে স্বস্তি দেন।
এদিন বিকেলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ দফতরের ভিতরে কাঁঠাল গাছে উঠে বসেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর পরনে ছিল ধুলো মাখা শাড়ি, হাতে ধরা ছিল হাঁসুয়া। মগডালে বসে এক এক করে ডাল কাটতে থাকেন তিনি। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর। তিনি খবর দেন মহকুমা পরিষদের কর্মী ও আধিকারিকদের। ক্ষণিকের মধ্যেই ঘটনাস্থালে আসেন মহকুমা পরিষদের কর্মী ও আধিকারিকরা। গাছ থেকে নামার জন্য অনুনয় বিনয় করা হয় বৃদ্ধাকে। যদিও, বৃদ্ধা কোনও কিছুতে কান না দিয়ে এক এক করে ডাল কাটতে থাকেন।
আরও পড়ুন- আত্মহত্যা করতে গঙ্গায় ঝাঁপ, আড়াই ঘণ্টা গঙ্গায় ভেসে অলৌকিক রক্ষা ছাত্রীর
এর পরেই খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা। তাঁদের অনুরোধেও কাজ হয় না। উলটে ধমকের সুরে বৃদ্ধাকে বলতে শোনা যায়, 'চলে যা। কাছে আসবি না।'
ঘণ্টা দু' য়েক এভাবে চলার পর অবশেষে গাছ থেকে নেমে আসেন বৃদ্ধা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ফিরে যান দমকল ও পুলিশ আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, রনংদেহী মূর্তি ধরে কাঠাল গাছের ডালপালা কাঁধে তুলে এলাকা ছেড়ে চলে যান ওই বৃদ্ধা।
প্রত্যক্ষদর্শী মানস চক্রবর্তী বলেন, 'আচমকাই ওণ বৃদ্ধাকে গাছের মগডালে দেখতে পাই।। শুনেছি ওই বৃদ্ধা প্রায়শই কাঠাল গাছের মগডালে চেপে বসেন।