সংক্ষিপ্ত

মহাপ্রভুর মন্দিরে নবকুঞ্জের মেলাতে দোলের রং মেখে ভিড়ের মধ্যে চুরি। প্রকাশ্যে দিবালোকে চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পরল ৮ চোর।  নর্দমার আবর্জনা মাখিয়ে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

 

মহাপ্রভুর (Maha Pravu Temple) মন্দিরে নবকুঞ্জের মেলাতে দোলের রং মেখে ভিড়ের মধ্যে চুরি। প্রকাশ্যে দিবালোকে চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পরল ৮ চোর। হাতেনাতে ধরে ৬ মহিলা-সহ ৮ জনকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। তারপর নর্দমার আবর্জনা মাখিয়ে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের (Police) হাতে।

দোল উপলক্ষে মহাপ্রভুর মন্দিরে নবকুঞ্জের অনুষ্ঠানের আয়োজিত হয়েছিল । অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত মেলার ভিড়ে পরপর চুরি যাচ্ছিল মহিলাদের গহনা সামগ্রী। আয়োজকরা নজর করতেই বুঝতে পারে রং মেখে রঙিন মুখের ভিড়ে প্রবেশ করেছে বেশ কিছু বহিরাগত। এক এক করে ধরা পড়ল ৬মহিলা-সহ ৮ জন। পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই অসংলগ্ন কথাবার্তা। তারপরেই শুরু হয়ে যায় গণধোলাই। মারধর করে নর্দমার আবর্জনা মাখিয়ে তুলে দেওয়া হলো পুলিশের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার জয়রামচক এলাকায়।

আরও পড়ুন, মাছের ভেড়িতে লুকিয়েও পার পাওয়া গেল না, রিজেন্ট পার্ক গুলিকাণ্ডে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত
 
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার জয়রামচক এলাকার নিমতলা মহাপ্রভু মন্দিরে শুক্রবার বিকেলে দোল খেলার মেতেছিল এলাকবাসী। এই উপলক্ষে নবকুঞ্জ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল মন্দির প্রাঙ্গণে। যেখানে মেলা বসেছিল এদিন সকাল থেকেই। আর সেই সময়ে প্রতিবেশী জেলা হুগলী থেকে রং মেখে ভীড়ে প্রবেশ করেছিল ৬ জন মহিলা ২ পুরুষ চোর । ভরদুপুরে আবির মেখে অন্যান্য রঙিন মুখের ভিড়ে মিশে গিয়েছিল তারা। গ্রামবাসীদের সেই ভিড়ে কে স্থানীয় কে বাইরের বুঝতে পারা যাচ্ছিল না। দোল খেলার মাঝেই হঠাৎ এক এক করে গ্রামবাসীরা জানান কারো হার চুরি গিয়েছে কারো বা অন্যান্য গহনা।

মেলার আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে অভিজিৎ গুছাইত বলেন,' গ্রামের কয়েকজন পরপর চুরির কথা বলতেই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। ভিড়ে নজর করতেই আমরা জানতে পারি কয়েকজন অচেনা লোক রয়েছে। আটজনকে এমন চিহ্নিত করে পরিচয় জানার চেষ্টা করি তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। তখনই তাদের শনাক্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।" এলাকার লোকজন ধরে তখনই তাদের গণধোলাই দেয়। কিল চড় ঘুষি লাথি এমনকি ড্রেনের নোংরা কাদাও তাদের মুখে মাখিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দাসপুর থানার পুলিশ পৌঁছে জনরোষ থেকে  তাদের উদ্ধার করে দাসপুর থানায় নিয়ে যায়। দাসপুর পুলিশ সূত্রে খবর, তারা সকলেই হুগলি জেলার বাসিন্দা, চুরি করাই তাদের পেশা। ধৃতদের শনিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হয়েছে।