সংক্ষিপ্ত

  • পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ঘটনা
  • পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ
  • অর্থ তছরুপে অভিযুক্ত কর্মীর স্ত্রীও
  • দু' জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ

একশো দিনের প্রকল্পের মজুরি থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে। এবার কোনও নেতা নন, একশো দিনের প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক দম্পতি। তাদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। 

পঞ্চায়েত অফিসের ওই কর্মীর নাম সুকান্ত পাল। কয়েকদিন আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিল সে। তাকে জেরা করেই অর্থ তছরূপে যুক্ত থাকায় সুকান্তর স্ত্রী ঋষিতা পালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়ি-সহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে জামালপুর ২ পঞ্চায়েত অফিসে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজে যোগ দেয় অভিযুক্ত সুকান্ত পাল। সেখান থেকে কিছুদিন পর আঝাপুর পঞ্চায়েত অফিসে বদলি করা হয় তাকে। পঞ্চায়েত দফতরের অডিট চলার সময়ই তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সামনে আসে।

অভিযোগ, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করার সময় একশো দিনের কাজের নথিতে ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে নিজের এবং স্ত্রী, পুত্রের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুরির টাকা জমা করে দিত সুকান্ত পাল। এর জন্য হুগলির ধনেখালি এবং পূর্ব বর্ধমান মিলিয়ে মোট ছ'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল সে। এই কাজে সুকান্তকে সাহায্য করতে তার স্ত্রী ঋষিতা পাল। 

অর্থ তছরুপের বিষয়টি সামনে আসার পরেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে জামালপুর ২ পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট মলয় চন্দন মুখোপাধ্যায় জামালপুর থানায় সুকান্ত পালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। একই অভিযোগে আঝাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক ঘোষও জামালপুর থানায় সুকান্ত পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। কিন্তু তার পর থেকেই ফেরার ছিল অভিযুক্ত। শেষ পর্যন্ত  কিছুদিন আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত। গত ২৯ জুলাই তাকে হেফাজতে নেয় জামালপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে শুক্রবার তার স্ত্রী ঋষিতাকেও গ্রেফতার করা হয়। এ দিন তাকে আদালতে তোলা হয়।