সংক্ষিপ্ত
ঘটনাস্থলেই দুজন মহিলা আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানা যায়। ৪০ জনের বেশি আন্দোলনকারীকে আটক করে সিঙ্গুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানা যাচ্ছে।
১২ নভেম্বর চাকরি প্রার্থীদের(job seekers) আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় সিঙ্গুরে(singur)। এবার সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের সিঙ্গুরে বড়সড় জমায়েত করে এসএসসি(SSC) চাকরি প্রার্থীরা। লক্ষ্য নবান্ন। কিন্তু নবান্ন অভিযানের শুরুতেই তাদের আটকে দিল পুলিশ(police)। সূত্রের খবর, সোমবার সিঙ্গুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে সংগঠনের ব্যানার নিয়ে মিছিল শুরু করার আগেই হুগলি গ্রামীন পুলিশ(police) আন্দোলনকারীদের আটক করে। গাড়িতে তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয় প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীদের।
ঘটনাস্থলেই দুজন মহিলা আন্দোলনকারী(Agitators) অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের সিঙ্গুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পাশাপাশি ৪০ জনের বেশি আন্দোলনকারীকে আটক করে সিঙ্গুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানা যাচ্ছে। পুলিশের দাবি নবান্ন অভিযানের জন্য তাদের কাছ থেকে কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি। যদিও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি নেওয়া হয়েছিল অনুমতি। এদিকে এর আগেএসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ শিক্ষা ও শারীর শিক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ১২ নভেম্বর সিঙ্গুরে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যদিও সেদিনও প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার।
আরও পড়ুন - প্রচার ঘিরে উত্তেজনা, থানা থেকে চ্যাংদোলা করে বার করে দেওয়া হল তৃণমূল প্রার্থীকে
সোমবার ফের এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ শিক্ষা ও শারীরশিক্ষা সংগঠনের তরফে জমায়েত করা হয় সিঙ্গুর স্টেশন লাগোয়া এলাকায়। সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পের গেটের সামনে যেখানে এক সময় বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না দিয়েছিলেন সেই জায়গা থেকেই তোড়জোড় চলে মিছিল শুরু করার। কিন্তু শুরুতেই পথ আটকে দাঁড়ায় পুলিষ। এদিকে ১২ তারিখের কর্মসূচি বাতিল নিয়ে সংগঠনের সভাপতি রাজু দাস জানিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে সিঙ্গুর থানার কাছে অনুমতি চেয়ে ছিলেন। থানা কোনো অনুমতি না দেওয়ায় তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে হয়।
আরও পড়ুন - ১ সিটে ১ লাখ, পুরভোটের টিকিট বিক্রির অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে কর্মশিক্ষা এবং শারীর শিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আন্দোলন করে চলেছেন এসএসসি প্যানেলভুক্তরা। এর আগে কলকাতার মেয়ো রোডে অনশন করেছেন তারা। কিন্তু সরকারি প্রতিশ্রুতি মতো এখনও চাকরি পাননি তারা। প্যানেলভুক্ত হয়েও এখনো নিয়োগ পত্র হাতে পাননি প্রায় আঠেরোশ কর্মপ্রার্থী। আর তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন আন্দোলনকারী। যদিও সোমবারের ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সরকারের তরফে। অন্যদিকে বিশেষ মুখ খুলতে রাজি হয়নি সিঙ্গুর থানার পুলিশ। এমতাবস্থায় এসএসসি প্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে সরকার নড়েচড়ে বসে কিনা এখন সেটাই দেখার।