সংক্ষিপ্ত
প্রচারে বাধা পেয়ে অভিযোগ জানাতে গেল ত্রিপুরায় থানা থেকে চ্যাংদোলা করে বার করে দেওয়া হল তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবকে
বাংলার পাশাপাশি পুরভোটের (Tripura municipal polls) আবহে উত্তেজনা বাড়ছে ত্রিপুরাতেও(tripura)। সোমবার পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ফলস্বরূপ আগরতলা(agartala) পুর নিগমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী(tmc candidate) পান্না দেবকে(panna deb) চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হল থানা থেকে। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যা নিয়ে ফের উত্তাল ত্রিপুরার রাজ্য-রাজনীতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসন্ন আগরতলা পুরভোটে অংশ নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এই নির্বাচনেই আগরতলা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পান্না দেব লড়ছেন তৃণমূলের হয়ে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে বারবার তাঁর প্রচারে বাঁধা দিচ্ছে বিজেপি বাহিনী। অভিযোগ বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে গিয়েও বারেবারে বিজেপি সমর্থকদের বাধার সম্মুখীন হন তিনি। থানায় গিয়েও এ নিয়ে অভিযোগ জানান। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরদিনই পরিস্থিতি ফের হাতের বাইরে যায়।
আরও পড়ুন - ১ সিটে ১ লাখ, পুরভোটের টিকিট বিক্রির অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
সোমবার প্রচারে বেরিয়ে ফের বিজেপি সমর্থকদের উৎপাতের মুখে পড়েন তিনি। তৃণমূল সমর্থকদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ পান্না দেবের। এরপর স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানে কোনও সুরাহা না হওয়ায় এদিনই তিনি গিয়েছিলেন আগরতলায় পুলিশ সুপারের দফতরে। কিন্তু অভিযোগ নেননি এসপি। উল্টে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া অভিযোগ তুলে তাকে সেখান থেকে চ্যাংদোলা করে বার করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই বেড়েছে উত্তেজনা।
আরও পড়ুন - বর্ষা বিদায়েও কমেনি হাওড়ার জলযন্ত্রণা, প্রশ্নের মুখে পৌরসভার ভূমিকা
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব জানান, ‘আমার সাথে হওয়া অন্যায় নিয়ে পুলিশকে জানাতে গেলে, তাঁরা বলে ওঁরা যখন চাইছে না, তাহলে কেন প্রচার করছেন? প্রাণের ভয় নেই? এরপর আগরতলায় সদর দফতরে গেলে সেখান থেকে চ্যাংদোলা করে বার করে দেওয়া হয় আমাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরসভা, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোট ত্রিপুরায়। গণনা ২৮ নভেম্বর। আগরতলার ৫১টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। আর এতেই চাপ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের উপর। তবে আসন্ন ভোটে বিজেপির পাল্লা ভারী থাকলেও বাংলায় তৃণমূলের জয়জয়কার দেখে সেরাজ্যে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু মোদী ব্রিগেড।