সংক্ষিপ্ত

নতুন পুরুলিয়া গড়তে সোমবার থেকে মাঠে নেমে পড়ল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। ১৫ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেড় মাস ধরে পুরুলিয়া জেলার প্রতিটি প্রান্তে চলবে প্রচার চলবে অভিযান।

মিশন নির্মল বাংলাকে (Nirmal Bangla Mission) সফল করতে অন্যান্য জেলার মতো বরাবরই বড় উদ্যোগ নিতে দেখা যায় পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনকেও (District Governor of Purulia)। একযোগে কাজ করে পঞ্চায়েত(panchayet) ও পুরসভা(municipality) গুলিও। কিন্তু তারপরেও ফিরছে না মানুষের হুশ। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে অথচ স্বাস্থ্যের কথা মাথায় না রেখে খোলা জায়গায় চলছে মল ত্যাগ। আবাস যোজনার বাড়ি, শৌচালয়(toilet) পেয়েও তা ব্যবহার করছেন একটা বড় অংশের মানুষ। তা নিয়েই চিন্তিত জেলা প্রশাসন। এই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতেই বড় উদ্যোগ নিতে দেখা গেল প্রশাসনের তরফে।

নতুন পুরুলিয়া গড়তে সোমবার থেকে মাঠে নেমে পড়ল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। ১৫ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেড় মাস ধরে পুরুলিয়া জেলার প্রতিটি প্রান্তে চলবে প্রচার চলবে অভিযান। নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবহার ও উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই দেড় মাসব্যাপী এই জনসংযোগ ও প্রচার কর্মসূচি শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে। এদিকে বাড়িতে শৌচাগার থাকলেও তা ব্যাবহার হচ্ছেনা।বাড়ির বাইরের পুকুর পাড়ে কিম্বা খোলা মাঠে হাওয়া খেতে খেতে শৌচকর্ম করা পুরুলিয়ার একটা বড় অংশের মানুষের নেশার মতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই রোগই নির্মূল করতে চাইছে সরকার।

আরও পড়ুন - ১ সিটে ১ লাখ, পুরভোটের টিকিট বিক্রির অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

এদিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে শৌচকর্ম করার তালিকায় যেমন সাধারণ গরীব শ্রেণীর মানুষ রয়েছেন তেমনই নির্বাচিত জন প্রতিনিধি থেকে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অনেক সরকারি কর্মচারীরাও যে একই কাজ করছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। জনসচেতনতার অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও। এর ফলেই বাড়ছে ডায়রিয়া আমাশয় থেকে বিভিন্ন জল বাহিত রোগের প্রকোপ। ঠিক সেই কারণেই শৌচাগার নির্মাণ ও তার ব্যবহার বৃদ্ধিতে নতুন করে জোর দিতে চাইছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ।

আরও পড়ুন - বর্ষা বিদায়েও কমেনি হাওড়ার জলযন্ত্রণা, প্রশ্নের মুখে পৌরসভার ভূমিকা

একইসাথে নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবহার বাড়াতেও চলছে জোরদার প্রচারাভিযান। এই লক্ষ্যে গত ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চারটি সুসজ্জিত ট্যাবলো যাত্রারও সূচনা হয়েছে। পুরুলিয়া জেলা পরিষদ চত্বর থেকে পতাকা হাতে এই প্রচারমূলক ট্যাবলোর সূচনা করেন জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলাশাসক রাহুল মজুমদার সহ বিভিন্ন জন প্রতিনিধিরা। কর্মরত সরকারি কর্মচারি, শিক্ষক,পঞ্চায়েত কর্মীরাও এই প্রচার অভিযানে সক্রিয় ভাবে অংশ নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পাশাপাশি ছাত্র সমাজকেও যুক্ত করা হবে এই উদ্যোগে।