সংক্ষিপ্ত

 পুলিশের জালে আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারকারী এক যুবক। নাকা চেকিং শুরু হতেই পর্দা ফাঁস, ধৃতের থেকে উদ্ধার ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মালদহ-তনুজ জৈনঃ- পুলিশের জালে আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারকারী এক যুবক। ধৃতের থেকে উদ্ধার ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।মূলত প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে সারা দেশ তথা রাজ্য জুড়ে চলছে কড়া নজরদারি। এদিকে মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরেও বাড়ানো হয় নাকা চেকিং। আর সেই নাকা চেকিংয়েই মাদক পাচারকারীর পর্দা ফাঁস করল পুলিশ (Malda Police)।

২৩ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এমনিতেই রাজ্যে জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে। তার উপর ডাকাতির ঘটনার পর মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে পুলিশি নজরদারি এমনিতেই বেড়ে গিয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে নাশকতা আটকাতে হরিশ্চন্দ্রপুর বাংলা-বিহার সীমান্ত জুড়ে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। আর এই নাকা চেকিং করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে আন্তঃরাজ্য গাজা পাচারকারীকে পাকড়াও করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ মশালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের করকোরিয়া তালগাছি এলাকা থেকে গাজা পাচারকারী গ্রেপ্তার করেছে। বছর ২৭-র ওই পাচারকারীর নাম সাদ্দাম হোসেন। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার মশালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই পাচারকারী কাছ থেকে ১১ কেজি উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর সোনাকল এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে নাকা চেকিং করার সময় বাইকে করে ওই পাচারকারীদের সঙ্গীকে নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে ১১ কেজি পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যদিও সাদ্দাম হোসেন নামে ওই মাদক পাচারকারী ধরা পড়লেও , তাঁর সঙ্গে থাকা ওই সঙ্গী পলাতক। ইতিমধ্য়েই বাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতকে মালদহ জেলা  আদালতে পেশ করবে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, ধৃত সাদ্দাম হোসেনের ওই পলাতক সঙ্গী কালিয়াচকের বাসিন্দা। শুক্রবার ওই পাচারকারীকে আদালতে তোলা হবে এবং পুলিশি রিমান্ডে জন্য ৫ দিনের আবেদন জানানো হবে।

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন, 'আমরা ওই ব্যক্তিকে আজ আমরা রিমান্ডে নেওয়ার জন্য ৫ দিনের আবেদন জানাব। এবং এই পাচার চক্রের কারা কারা জড়িত, তা নিয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।' প্রসঙ্গত, এখনও ডাকাতির ঘটনায় এখনও আতঙ্কিত মালদহবাসী। কারণ ঘটনার সবে ৪৮ ঘন্টা পার হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তল্লাশির নামে লেবার কমিশনারের বাড়িতে ঢুকে নির্বাচারে লুঠপাট চালায় খোদ পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকায়।লেবার কমিশনারের অভিযোগ ৩৪ ভরি সোনা এবং লেবারদের পাওয়া টাকা বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা লুঠ করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৩ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় কার্যতই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তার উপর আবার দোরগড়ায় প্রজাতন্ত্র দিবস। তাই সবদিক থেকেই সতর্ক হয়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে মালদহ পুলিশ।