সংক্ষিপ্ত

  • খড়্গপুরে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
  • উপনির্বাচনে নাম ঘোষণার পরেই তৎপর পুলিশ
  • পুলিশের পদক্ষেপ রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক, অভিযোগ বিজেপি-র


বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই জারি হল গ্রেফতারি পরোয়ানা। এতদিন  কোনও পদক্ষেপ না করলেও খড়্গপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাঁ- এর বিরুদ্ধে পুলিশ হঠাৎ তৎপর হয়ে ওঠায় রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। প্রেমচাঁদবাবু অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তী জামিন নিয়ে এসে গ্রেফতারি এড়িয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের এই পদক্ষেপকেই উপনির্বাচনের প্রচারে হাতিয়ার করছে বিজেপি। 

আগামী ২৫ নভেম্বর খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে প্রেমচাঁদ ঝাঁ- এর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন আগে খড়্গপুর শহরের তলঝুলিতে একটি জমি কেলেঙ্কারির মামলায় নাম জড়ায় খড়্গপুরের বিজেপির প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাঁ-র।

অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো কাগজপত্র বানিয়ে যজ্ঞেশ্বর বেরা নামে এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর জমি হাতিয়ে তিন কোটি টাকায় বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেয় প্রেমচাঁদ ঝাঁ। আইনি সহায়তা না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যজ্ঞেশ্বর বেরার ছেলে সুকান্ত বেরা। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নাকি চিঠিও পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে। এর পরে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরে হঠাৎ প্রেমচাঁদ ঝাঁ সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে দেয় রাজ্য পুলিশ৷ 

পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে আন্দাজ করেই কলকাতা হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন বিজেপি প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেয় আদালত। 

প্রশ্ন উঠছে, যে নেতার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে খবর, তাঁকে কেন প্রার্থী করল বিজেপি? এই নিয়ে বিজেপি-র অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিজেপি-র বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই টিকিট পেয়েছেন প্রেমচাঁদ। পাল্টা বিজেপি বাঁচাও কমিটি তৈরি করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রদীপ পট্টনায়েক নামে একজনকে দাঁড় করানো হয়েছে। যার ফলে বিজেপি নেতৃত্বই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। 

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার বিষয়ে প্রেমচাঁদ ঝাঁ বলেন, 'তৃণমূল চক্রান্ত করে ফাঁসাচ্ছে আমাকে। প্রার্থী হয়েছি বলেই এই মামলা ফের শুরু করা হয়েছে৷ আমি আদালতে আইনি লড়াই করব৷ নির্বাচনেও একইভাবে লড়ব।'

পাল্টা তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ' খড়্গপুরে বিজেপি যে উবে যেতে শুরু করেছে, তা পরিষ্কার৷ বিজেপির বিরুদ্ধেই বিজেপি বাঁচাও কমিটি প্রার্থী দিচ্ছে৷ আর প্রার্থী তো প্রতারনাতে জড়িত৷ ফলে আমাদের জয় নিশ্চিত৷'