সংক্ষিপ্ত
- শ্মশান থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠাল পুলিশ
- ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ থানার চকআহমেদপুর শ্মশানে
- শ্মশানে সৎকারের তোড়জোরও করছিল একদল লোক
- একটি শ্মশানযাত্রী দলের সন্দেহ হতেই তাদের চেপে ধরেন
শ্মশান থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাল মিনাখাঁ থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ থানার চকআহমেদপুর শ্মশানে। এক মহিলার দেহ নিয়ে শ্মশানে সৎকারের তোড়জোরও করছিল একদল লোক। কিন্তু শ্মশানে দাহ করতে আসা আর একটি শ্মশানযাত্রী দলের সন্দেহ হওয়ায় সকলে তাদের চেপে ধরেন। আর তখনই তখন মৃতদেহ রেখেই পালায় সঙ্গে থাকা লোকজন। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে মিনাখাঁ থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তবে মৃতদেহের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন, ফের গুগলি শীতের, সপ্তাহান্তে ফিরছে ঠান্ডা, রবিবার থেকে ফের নামবে তাপমাত্রা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন বিকেলে মিনাখাঁ থানার মালঞ্চের চকআহমেদপুরের শ্মশানে এক মহিলার মৃতদেহ সৎকারের জন্য আসেন স্থানীয় এক ইটভাটার কিছু শ্রমিক। কিন্তু তাদের আচরণ দেখে সন্দেহ হয় অন্য একটি শ্মশানযাত্রী দলের। তবে ইটভাটার শ্রমিকরা সকলেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি দেখে সৎকারের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ আছে দেখতে চান স্থানীয়রা এবং মৃতের পরিচয়ও জানতে চাওয়া হয়। আর এতেই ক্ষেপে ওঠে ইটভাটার শ্রমিকদের সঙ্গে আসা ঠিকাদারের লোকজন। তারা মারধরের হুমকি দিলে রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন গ্রামবাসীরা। বিপদ বুঝে শ্রমিক ও ঠিকাদারের লোকজন শ্মশানে মহিলা দেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন, দড়ি বেঁধে মহিলাকে অত্যাচার, গঙ্গারামপুরকাণ্ডে পুলিশের জালে অভিযুক্ত উপপ্রধান
সূত্রে খবর,ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ শ্মশান থেকে দেহ উদ্ধার করে এবং হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এব্য়াপারে স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানিয়েছেন, বিকেলে তারা গ্রামের এক বৃদ্ধের দেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে এসেছিলেন। তখনই এলাকার এক ইটভাটার কিছু শ্রমিক ও ভাটার কর্মীরা এক মহিলার দেহ নিয়ে আসে। যার আনুমানিক বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। এরপর সন্দেহ হওয়াতেই ওরা দেহ ফেলে পালায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।