সংক্ষিপ্ত

  • বর্ধমানের পালসিটে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা
  • দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চার পুলিশকর্মীরা
  • ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ, চালক পলাতক
  • সোমবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার
     

বর্ধমানের পালসিটে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সোমবার ভোরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল খোদ পুলিশেরই একটি গাড়ি। দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন চারজন পুলিশকর্মী।  ঘাতক গাড়িটি আটক করেছেন তদন্তকারীরা। চালক ও খালাসি পলাতক। 

জানা গিয়েছে, পুলিশের জিপে নয়, একটি বেসরকারি গাড়িতে চেপে বর্ধমান শহর থেকে মেমারিতে ফিরছিলেন বাদল সরকার,অনুপ কুমার বালা, প্রবীর কুমার হাটি ও বিশ্বজিৎ সামুই নামে চার পুলিশকর্মী। সোমবার ভোরে গাড়িটি যখন বর্ধমানের পালসিটে পৌঁছয়, তখন দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিশের গাড়িটি আগে ছিল একটি বালিবোঝাই ট্রাক। ট্রাকটি বর্ধমানের দিক থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। পালসিটে পৌঁছে আচমকাই ট্রাকটি মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে।  এদিকে ট্রাকের পিছনে বেশ দ্রুত গতিতেই আসছিল পুলিশের গাড়িটিও। চালক আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। পিছন দিক থেকে পুলিশের গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে বালিবোঝাই ট্রাককে। এত জোরে ধাক্কা লেগেছিল, যে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন পুলিশকর্মী। আর একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে মারা যান তিনিও।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার সকালে পালসিটে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। ঘাতক ট্রাকটিকেও আটক করেছে পুলিশ। তবে চালক ও খালাসি খোঁজ মেলেনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরই ট্রাকটি ফেলে পালিয়ে যায় তারা।  এদিকে আকস্মিক দুর্ঘটনায় প্রিয়জনদের হারিয়ে শোকে দিশেহারা মৃত পুলিশকর্মীদের পরিবারের লোকেরা। দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।