সংক্ষিপ্ত
- সরকারি কাজে গাফিলতি
- সময়মতো 'আসেন না' কর্মীরা
- পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলালেন প্রধান
- পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির ঘটনা
এভাবে আর কতদিন চলবে! সঠিক সময়ে কর্মীরা না আসায় শেষপর্যন্ত পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন খোদ প্রধান ও উপপ্রধানই। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়ায় বাগমুন্ডি এলাকায়।
আরও পড়ুন: নদিয়ায় ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্য়ে, এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি, হামলা
পুরুলিয়া জেলার প্রত্যন্ত ব্লক বাগমুন্ডি। সুন্দরী অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে পঞ্চায়েত অফিস। কিন্তু সাধারণ মানুষ কী আদৌ কোনও পরিষেবা পান? স্থানীয় সূত্রে খবর, পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা দুর্গম এই এলাকার ১৫টি গ্রাম সংসদের মানুষ বাগমুন্ডি পঞ্চায়েত অফিসের উপর নির্ভরশীল। একশোর দিনে প্রকল্পই হোক কিংবা বার্ধক্য ভাতা, যেকোনও সরকারি প্রকল্প সংক্রান্ত কাজে আসতে হয় পঞ্চায়েত অফিসেই। এলাকায় আদিবাসী মানুষের সংখ্যাও তো কম নয়। পঞ্চায়েত অফিস থেকেই তাঁদের সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। কিন্তু সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনেই স্রেফ কর্মীরা সঠিক সময়ে অফিসে না আসায় ফিরে যেতে হয় সকলকেই। বারবার বলেও সমস্যা মেটেনি। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল জনপ্রতিনিধিদের।
আরও পড়ুন: এক খোলসে দুই ফল, এ কেমন লেবু
জানা গিয়েছে, বুধবার যথারীতি সময়মতো পঞ্চায়েত অফিসে চলে এসেছিলেন প্রধান নির্মল মাছুয়াড় ও উপ প্রধান মনোরঞ্জন কৈবর্ত। কিন্তু কর্মীরা কই! বিরক্ত হয়ে কিছুক্ষণ পঞ্চায়েতের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দূরদরান্ত থেকে পঞ্চায়েত অফিসে এলেও মানুষ পরিষেবা পান না। এমনকী, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দরজায় তালা লাগিয়েই কি সমস্যা সমাধান হবে? প্রশ্ন উঠেছে।