সংক্ষিপ্ত

  • নদিয়ার শান্তিপুরের ঘটনা
  • গর্ভবতী মহিলাদের সামনে পঞ্চব্যঞ্জন রেখে ছবি
  • ছবি তোলার পরেই সরিয়ে  নেওয়া হয় খাবার
  • বদলে দেওয়া হয় ডিম ভাতের প্যাকেট


সুপুষ্টি দিবস, তাই পঞ্চব্যঞ্জন সহকারে দুপুরে খাওয়ানো হবে গর্ভবতী মহিলাদের। অন্তত পরিকল্পনা ছিল এ রকমই। সেই মতোই ভাতের সঙ্গে ডাল, নানা পদের তরকারি, পাঁচ রকমের ভাজা, মিষ্টি, পায়েস, স্যালাড সহকারে থালা সাজিয়ে গর্ভবতীদের সামনে রেখে ছবিও তোলা হল। কিন্তু ছবি তুললেও পঞ্চব্যঞ্জন আহারের স্বাদ পেলেন না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের গর্ভবতী মহিলারা। বদলে তাঁদের খাওয়ানো হল ডিমের ঝোল ভাত! কর্মীরা সাফ জানিয়ে দিলেন, পঞ্চব্যঞ্জনে সাজানো থালা শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্যই। 

গর্ভবতী মহিলাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের এমনই অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার শান্তিপুরের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার থেকে রাজ্যে সরকারের উদ্যোগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে গত শুক্রবার থেকে সুপুষ্টি দিবস পালন করা শুরু হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ভুগোলে অনার্স দুই বোন, চাষ করেই সংসার টানছেন দীপা- সমাপ্তি

আরও পড়ুন- নদীতে ছুঁড়ে ফেলা হল একরত্তি শিশুকে, ঘটনায় চাঞ্চল্য বাঁকুড়ায়

সোমবারের অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগের রাতেই এলাকার ২০ জন প্রসূতিকে নিমন্ত্রণ করে এসেছিলেন শান্তিপুর ব্লকের ৪৬১ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা। জানানো  হয়েছিল, পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে তাঁদের। পরদিন দুপুরে সেই মতোই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হাজিরও হয়েছিলেন গর্ভবতী মহিলারা। পঞ্চব্যঞ্জন, দই, মিষ্টির সমাহারে সুসজ্জিত থালার সামনে একে একে বসানো হয় তাঁদের। তোলা হয় খেতে বসার ছবিও। কিন্তু এর পর যা ঘটে, তাতে অবাক সবাই।

অভিযোগ, ছবি তোলার পর ওই গর্ভবতী মহিলাদের একজন থালা থেকে খাবার খেতে গেলেই বাধা দেন কর্মীরা। কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানানো হয়, থালায় সাজানো খাবারটি খাওয়ার জন্য নয়, শুধুই ছবি তোলার জন্য। বদলে প্রসূতিদের হাতে ধরানো হয় ডিম সেদ্ধ, আলুর ঝোল এবং ভাতের প্যাকেট। স্বভাবতই এই ঘটনায় অপমানিত বোধ করেন প্রসূতি ও তাঁদের পরিজনরা। অভিযোগ, শিশুদের সামনেও খাবারের সাজানো থালা রেখে ছবি তুলিয়ে তাঁদের আর সেই খাবার দেওয়া হয়নি। 

শান্তিপুরের ভগবতী দাস রোডের বাসিন্দা মৌমিতা সাধুখাঁ নামে এক প্রসূতি অপমানিত হয়ে খাবার না খেয়েই বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি ফিরে তাঁর স্বামী বিশ্বজিত্‍ সাধুখাঁকে জানান সমস্ত ঘটনা। এরপর স্বামী-স্ত্রী দু' জনে মিলেই আইসিডিএস অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানান। ঘটনার কথা জানার পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে স্বীকার করে নিয়ে আইসিডিএস অফিস থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।