সংক্ষিপ্ত

  • রায়গঞ্জ শহর জুড়ে বন্ধ ইন্টারনেট
  • অশান্তির প্রভাবে বন্ধ ট্রেন চলাচলও
  • তা সত্ত্বেও স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়
  • রেলের ওয়াই ফাই ব্যবহার করতে ভিড়

সারাদিনে ট্রেন নেই, কিন্তু স্টেশনে বিনামূল্যে ওয়াইফাই আছে। আবার কয়েকদিনের তাণ্ডবের জেরে গোটা শহরে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। কিন্তু স্টেশনে এলেই দিব্যি পাওয়া যাচ্ছে রেলের বিনামূ্ল্যের ওয়াই ফাই। তাই অশান্তির জেরে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলেও রায়গঞ্জ স্টেশনে ভিড় উপচে পড়ছে। কারণ শহরে ইন্টারনেট সংযোগ না পেয়ে জরুরি কাজ বা নিতান্ত সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে দেখতে স্টেশনে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 

রায়গঞ্জ স্টেশনে সারাদিনে ট্রেন বলতে রাধিকাপুর থেকে বিহারের কাটিহারগামী গোটা কয়েক প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এর পাশাপাশি সকালে কলকাতা থেকে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস এসে থামে এই স্টেশনে। সন্ধ্যায় আবার সেই ট্রেন ফেরত যায়। অনেক চেষ্টার পরেও কলকাতার দিকে সকালবেলা কোনও ট্রেন পায়নি রায়গঞ্জ। তাই সাধারণত দিনের বেশিরভাগ  সময় ফাঁকাই থাকে রায়গঞ্জ স্টেশন। 

তার উপর গত কয়েকদিন ধরেই এই স্টেশন দিয়ে যাবতীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ। কারণ নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের নামে যে তাণ্ডব গত কয়েকদিন চলেছে, তাতে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ট্রেন না থাকলেও গত দু' দিন ধরে রায়গঞ্জ স্টেশনে ভিড় লেগেই থাকছে। কারণ অশান্তি রুখতে গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়েই ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। রায়গঞ্জ শহরেও নেট সংযোগ নেই। ফলে অনেকেরই জরুরি কাজ থমকে গিয়েছে। অনেকের আবার ইচ্ছে থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চেক করা হচ্ছে না। 

এই অবস্থায় মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়িয়েছে রেলের ওয়াইফাই। ট্রেন পরিষেবা দিতে না চাইলেও বিনামূল্যের ওয়াইফাই বন্ধ করেনি রেল। এমনি সময় সন্ধে ৬টা নাগাদ কলকাতাগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেস চলে যাওয়ার পর স্টেশনে প্রায় কেউ থাকেই না। সেখানে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ছিল। মঙ্গলবারও সকাল থেকে রায়গঞ্জ স্টেশনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।  তাঁদের মধ্যে যাত্রী প্রায় কেউ ছিলেন না, অধিকাংশই রেলের ওয়াইফাই-এর সাহায্যএ মোবাইলে ডুবে ছিলেন। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের ভিড় ছিল বেশি।