সংক্ষিপ্ত

  • এ রাজ্য থেকে শুরু হতে চলেছে রেলের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া
  • আসানসোল ডিভিশনে বেসরকারি সংস্থা পরিষেবা সংক্রান্ত বড় দায়িত্ব পেতে চলেছে 
  • আপাতত এক বছরের জন্য দিয়ে থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা
  • এই কাজের জন্য টেন্ডার ডেকেছে পূর্ব রেল

নীতিগত সিদ্ধান্ত তো নিয়েই ফেলেছে মোদী সরকার।  এ রাজ্যে রেল পরিষেবাকে বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেল।  এক বছরের জন্য আসানসোল ডিভিশনের অনুসন্ধানকেন্দ্রগুলিকে পরীক্ষামূলকভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিল রেলমন্ত্রক। এই মর্মে টেন্ডারও ডেকেছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।

কোন ট্রেন কখন আসবে, কোন ট্রেনই বা দেরিতে চলছে, যাত্রীদের জন্য তা জানানোর জন্য সারা দেশেই বিভিন্ন ডিভিশনে অনুসন্ধান কেন্দ্র চালায় রেল। জানা গিয়েছে, সর্বত্রই এই অনুসন্ধান কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন রেলের কর্মাশিয়াল সেকশন বা বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মীরা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, বিভিন্ন ডিভিশনে অনুসন্ধানকেন্দ্রগুলি চালান টিকিট পরীক্ষকরাই। 

পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আসানসোলে ডিভিশন রেলের ৯টি অনুসন্ধানকেন্দ্র চলে। সেগুলি চালান ওই ডিভিশনের কর্তব্যরত রেলের টিকিট পরীক্ষকরা। কিন্তু অনুসন্ধানকেন্দ্রের দায়িত্ব সামলে তাঁদের পক্ষে আর যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রেলের পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। তাই আসানসোল ডিভিশনের ৯টি অনুসন্ধানকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। আপাতত এক বছরে জন্য বেসরকারি সংস্থার কাছে দরপত্র চাওয়া হয়েছে।  তাহলে অদূরে ভবিষ্যতে কি রেলের অনুসন্ধানকেন্দ্রগুলি স্থায়ীভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতেই তুলে দেওয়া হবে? সেই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক। তবে সূত্রের খবর, যদি আসানসোল ডিভিশনে বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া সফল হয়, তাহলে ধাপে ধাপে সমস্ত ডিভিশনেই অনুসন্ধানকেন্দ্রগুলির বেসরকারিকরণ করা হবে।

এদিকে স্রেফ যাত্রীদের আরও ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য রেল বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে, এমনটা মানতে রাজি নন অনেকেই। তাঁদের দাবি, পণ্য পরিবহণ হোক কিংবা যাত্রী পরিষেবা, সবক্ষেত্রেই এখন রেলের আয় নিম্নমুখী। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, শূন্যপদ থাকলেও কর্মী নিয়োগও করা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে যদি অনুসন্ধানকেন্দ্রগুলি বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যায়, তাহলে রেলে কর্মীদের ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটবে। বাড়তি আয়ও হবে। তাই সবদিক বিবেচনা করে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।  প্রসঙ্গত, গত বাজেটের রেলের বেসরকারিকরণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।