সংক্ষিপ্ত

রামপুরহাটের ঘটনায় বিধানসভায় বিবৃতি দেওয়ার সময় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন,' রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।'   রামপুরহাটের ঘটনায় রীতিমত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।  

 

রামপুরহাটের ঘটনায় বিধানসভায় বিবৃতি দেওয়ার সময় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি দিতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে', বলেও বিধানসভায় জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি রামপুরহাটের ঘটনায় রীতিমত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।  

বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

এদিকে রামপুরহাটের ঘটনায় রীতিমত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি এদিন বলেন, 'বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে তৃণমূল নেতাকে খুন করে , তারপর এই আগুন লাগানো হয়েছে। শান্ত বাংলাতে এই ইস্যু তৈরি করতে কারা এই কাজ করেছে, তা সকলেই বুঝেছে।' এরপরেই কুনাল বলেন,'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ওসি এবং এসিডিপিও-কে সরানো হয়েছে। এসআইটি গঠন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১১ জন। তদন্ত চলছে।' প্রসঙ্গত, নিহত তৃণমূল নেতা বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন। নাম ভাদু শেখ। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। জনবহুল এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে অন্যান্যরা ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে উপ প্রধানকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  ইতিমধ্যেই ঘন্টানাস্থলে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক আশিস বন্দোপাধ্যায়।  

আরও পড়ুন, 'রামপুরহাট মধ্যযুগীয় বর্বরতা', মমতার পদত্যাগের দাবিতে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

'রাজ্যপালের টুইট অনভিপ্রেত'-কুণাল

 এদিকে এদিন রামপুরহাটের ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ভিডি বার্তায় রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন। এদিকে এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ এদিন বলেছেন, রাজ্যপালের টুইট অনভিপ্রেত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একটি দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে উনি রাজনীতি করেছেন। বিজেপি নেতার ভূমিকা নিয়েছেন। রাজ্যপাল আগে উত্তর প্রদেশে গুজরাট সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কী চলছে বলুন। গুজরাটে মুখমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুবছরের হেফাজতে মৃত্যু ১৮৮।' প্রসঙ্গত এদিন রাজ্যপাল ভিডিও বার্তায় বলেন, রামপুরহাটের ভয়াবহ ও নৃশংস ঘটনা আমি মর্মাহত। ডিজিপির বিবৃতি অনুসারে রামপুরহাটকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই রাজ্যের ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে মুখ থুবড়ে পড়েছে, এই ঘটনা তারই ইঙ্গিত দিয়েছে। এভাবে রাজ্যে অরাজকতা চলতে দিতে পারি না, এটা আমি আগেও বলেছি। প্রশাসনকে রাজনৈতিক বিভাজনের উপরে উঠতে হবে। আমি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এব্যাপারে পেশাদারিভাবে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অতিদ্রুত এই ঘটনা নিয়ে অবগত করতে বলেছি। রামপুরহাটের এই ঘটনায় আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, রাজ্যের মানবধিকার বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।'