সংক্ষিপ্ত
দশমীর সন্ধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মুহূর্তে ভাইরাল শোভন-বৈশাখীর সিঁদুরদান মুহূর্ত। এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান 'আমাদের মধ্যে স্বীকৃতির অভাব কোনও দিন ছিল না।' এবার শোভন-বৈশাখীর সিঁদুরদান নিয়ে মুখ খুললেন স্ত্রী রত্না ও পুত্র সপ্তর্ষি।
শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi Banerjee) বন্ধুত্বের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। সম্প্রতি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভোর্সের (Divorce) বিষয়টি সামনে আসার পরও শোভন বৈশাখীর বিয়ে নিয়ে কটাক্ষ করেন নেটিজেনদের একাংশ। যদি ও এই প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন যে তিনি কিছুতেই ডিভোর্স দেবেন শোভন বাবুকে সুতরাং বিয়ের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এবার দশমীর (Dashami) সন্ধ্যায় সিঁদুর খেলার মুহূর্তে দেবী দুর্গাকে সাক্ষী রেখে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথি রাঙিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শনিবার শোভনের বৈশাখীকে সিঁদুরদান নিয়ে মুখ খুলেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায় ও পুত্র সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিঁদুর পরানো নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। এই প্রসঙ্গে রত্না জানান, "হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের (Sovan Chatterjee) স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তাহলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ ‘রক্ষিতা’ বলে। রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না। এই বিষয় নিয়ে তিনি কোনো আইনি পদক্ষেপ করতে চান কি না প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সাফ জবাব "ওরা যা পারছে করছে। কিন্তুভুলে যাচ্ছে দেশে এখনও আইন রয়েছে। শোভন আইনত এখনও আমার স্বামী। দুর্গা প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে জানেন তো। আমিই সেই বাঁশ। ওরা বিয়ের কথা ভাবুক।তারপর আমি দেখছি, কী করা যায়। পুজোর সময় ফোন করে শোভন একবারও ছেলে-মেয়ের খোঁজ নেয়নি।"
আরও পড়ুন- 'আমরা ঘরে বসে থেকে রাজনীতি করতে চাইনা' ত্রিপুরায় তৃণমূলের মোক্ষম দাওয়াই দুয়ারে প্রচার
বাবার এহেন কান্ডে চুপ থাকেন পুত্র সপ্তর্ষিও (Saptarshi Chatterjee)। এই প্রসঙ্গে সপ্তর্ষির মন্তব্য "সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) হতেই পারে। কিন্তু, আমার একটা প্রশ্ন হল আমাদের দেশে তো শরিয়ত আইন মানা হয় না। দুর্গাপুজো হিন্দুদের উৎসব। আইনত যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় বিবাহিত, তখন তিনি কী করে এমন একজনের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন যিনি অন্যের স্ত্রী এবং তাঁরও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি! আমরা বলি, সব মহিলার মধ্যে দুর্গা রয়েছেন। আজ তিনি দুর্গাপুজোয় নিজের স্ত্রীকে অপমান করে অন্যের স্ত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন। ওনারা চেষ্টা করছেন সম্পর্কটাকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করতে। কিন্তু, আদতে সেটা করতে গিয়ে বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন। বাবাকে অ্যাসাইলেমে ভর্তি করা উচিত।'
তবে শুধু স্ত্রী-পুত্রই নয় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শ্বশুর মশাই তথা মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস ও (Dulal Das)। তাঁর ভাষায় "আসলে ওরা সমাজকে দূষিত করছে। তাই প্রশাসনের উচিত ওদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা। পাগল হয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে। এই ধরণের আচরণকে ব্যভিচার ছাড়া আর কিছুই বলে না।"