সংক্ষিপ্ত

 

  • করোনা আতঙ্ক মিলিয়ে দিল দুই সম্প্রদায়কে
  • মসজিদ থেকে ত্রাণ পৌঁছে গেল মন্দিরে
  • বিপদে সময়ে একজোট হলেন সকলেই
  • সম্প্রীতির নজির নদিয়ার নবদ্বীপে
     

করোনা আতঙ্ক মিলিয়ে দিল দুই সম্প্রদায়কে। লকডাউনের বাজারে মসজিদ থেকে ত্রাণ পৌঁছে গেল মন্দিরে। সম্প্রীতির নজির বৈষ্ণবভূমি নদিয়ার নবদ্বীপে।

আরও পড়ুন: কিংবদন্তির জন্মদিনে খাদ্যসামগ্রী বিলি, লকডাউনে মানবিক উদ্যোগ সচিন ভক্তদের

লকডাউনের বিধি নিষেধে থমকে গিয়েছে দৈনন্দিন জীবন। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। স্কুল-কলেজ-অফিসই সবই বন্ধ। খুলছে না দোকানপাঠ, বসছে না বাজারও। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে আকালে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। তবে প্রতিদিনের রোজগারে যাঁদের দিন চলে, সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাই। রোজগার বন্ধ, জুটছে না খাবারও। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে? যতদিন যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। আপাতত লকডাউন  প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে শোনা যাচ্ছে।  বিপদের সময় ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। 

আরও পড়ুন: 'অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢুকছে করোনা', শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরে

আরও পড়ুন:লকডাউনের জেরে দিন কাটছিল খোলা আকাশের নিচে, বেঘোরে প্রাণ গেল এক রিক্সাচালকের

বৈষ্ণবভূমি হিসেবে পরিচিত নদিয়ার নবদ্বীপ। তবে শহরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয় তেঘড়িপাড়া জুম্মা মসজিদ থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ঢাকানগর শীতলা মন্দির হাজির হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ত্রাণ বিলির ব্যবস্থা করেন। দিন কয়েক আগে মন্দির থেকে নিয়ে গিয়ে মসজিদেও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এভাবে একজোট হয়ে লড়াই করে করোনা ভাইরাসকে হারিয়ে দিতে চান দুই সম্প্রদায়ের মানুষ।