সংক্ষিপ্ত
২০২০ সালে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সেক্স টয় কিনতে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটে। দোকানদারের প্রতারণার জালে পা দেন তিনি। খোয়া যায় ৩৭ লাখ টাকা। অবশেষে পুলিশে অভিযোগ জানালে গ্রেফতার হয় এক ব্যক্তি।
একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক (Retired Teacher)। সেক্স টয় (Sex Toy) কেনার জেগেছিল তাঁর। আর কথাতেই আছে শখের দাম লাখ টাকা। কিন্তু শখের দামের জন্য লাখ টাকা দেওয়ার পর যদি জানা যায় যে পুরোটাই ভুয়ো। সেই ব্যক্তির শুধু মাত্র টাকা হাতানোর জন্য একটা চক্রান্ত করে জাল বিছানো হয়েছিল...তখন ঠিক যেমন অবস্থা হয় সেই রকমই অবস্থা হয়েছিল সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের। সালটা ছিল সেই ২০২০। শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটে গিয়েছিলেন থেকে সেক্স টয় (Sex Toy)। কিন্তু তিনি বোঝেন নি যে সামান্য একটি সেক্স টয় কেনার জন্য তিনি লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার স্বীকার হবেন (Fraud Case)। সেক্স টয় কেনার শখ পূরণ করতে গিয়ে বিভিন্ন দফা মিলেয়ে মোট ৩৭ লাখ টাকা খুইয়েছেন (To Lost 37 Lakhs) সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ২০২০ সালের এই ঘটনার জল গড়িয়েছে ২০২২ সালেও। শনিবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ড্যান্স বারের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসুন জানা যাক সেক্স টয় কিনতে গিয়ে কীভাবে প্রতারিত হয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত বেলাকপবা এলাকার বাসিন্দা তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালে শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটের একটি দোকান থেকে সেক্স টয় কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। দোকানদার তাঁকে জানান, সেই পুতুলটি নাকি বিদেশ থেকে আনাতে হবে। আর সেই জন্য তাঁকে অগ্রিম এক লক্ষ টাকাও দিতে হবে। রাজিও হয়ে যান সেই অবসরপ্রাপ্ত সেই শিক্ষক। কারন একটাই, শখের দাম লাখ টাকা!আর সেই শখ পূরণ করতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। পা দিয়ে ফেলেছিলেন প্রতারণার জালে। প্রতারণার জালটা ঠিক কেমন ছিল? হংকং মার্কেটের যে দোকানে তিনি সেক্স টয় কিনতে গিয়েছিলেন সেই দোকানদার তাঁকে বলেন, সেক্স টয় বিদেশ থেকে এসে গিয়েছে। কিন্তু ডেলিভারি বয় সেই শিক্ষকের বাড়িতে সেটি পৌঁছে দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। আর পুলিশি জেরার মুখে ভয় পেয়ে সেই ডেলিভারি বয় শিক্ষকের নাম বলে দেয়। এই ভাবেই দফায় দফায় প্রায় ৩৭ লাখ টাকা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের থেকে আদায় করেন সেই দোকানদার। তবে শেষ রক্ষা হল না।
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ফাঁদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অভিনব পদ্ধতিতে লুঠ লক্ষাধিক টাকা
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যখন বুঝতে পেরেছেন তিনি প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন, তখন কোনও উপায় না দেখে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। টাকা দেওয়ার জন্য তাঁকে জমি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানান তিনি। এই ঘটনায় জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, একটি বিশেষ ধরনের পুতুল কিনতে গিয়েই প্রতারণার জালে পা দিয়ে ৩৭ লাখ টাকা খুঁইয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পবন দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি। উল্টে বলেছেন, তাঁর অজান্তেই নাকি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।