সংক্ষিপ্ত
জঙ্গিপুর-বহরমপুরগামী রাজ্য সড়কেই ঘটে দুর্ঘটনাটি। নিহত শিশুর নাম ইজাজ আহমেদ (২)। এদিকে এই এলাকায় উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ডাম্পার, লরি থেকে মালবোঝাই গাড়ির দৌরাত্ম্য। প্রায়শই ঘটে দুর্ঘটনা। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
রাত পোহালেই বড়দিন(Christmas)। আপামর বাঙালিরা মেতে উঠেছে শীতের উৎসবের আনন্দে। বড়দিনের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আনন্দে সামিল হতে গিয়ে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার(Road Accident) বলি হতে হলো এক নিরীহ শিশুকে। শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) বাখরপুর এলাকায়। জঙ্গিপুর-বহরমপুরগামী রাজ্য সড়কেই ঘটে দুর্ঘটনাটি। নিহত শিশুর নাম ইজাজ আহমেদ (২)। এদিকে এই এলাকায় উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ডাম্পার, লরি থেকে মালবোঝাই গাড়ির দৌরাত্ম্য। প্রায়শই ঘটে দুর্ঘটনা। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
সূত্রের খবর, বড়দিনের আনন্দে সামিল হতে কেক খাওয়ার বায়না ধরে শিশুটি। তার জেরাজুরিতেই তাকে নিয়ে বাজারে যান তার বাবা আফজাল হোসেন। সঙ্গে ছিল তারও ৪ সন্তান। বাড়ি থেকে মাত্র এক-দেড়শ মিটার পথ অতিক্রান্ত করতেই ঘঠে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন ঠিক যে জায়গায় দিয়ে তারা রাস্তা পার করছিলেন তার উল্টোদিক দিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি বেপরোয়া ডাম্পার সজোরে এসে ধাক্কা মারে ওই শিশুকে। তখনই বাবার হাত থেকে ছিটকে পড়ে সে। রাস্তার বিপরীত পাশে ছিটকে পড়ে তারা বাবা। মুহুর্তের মধ্যে রাস্তার মধ্যেই ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় ছোট্ট শিশুটির দেহ। ঘটনার বীভৎসতায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন আফজাল। এমতাবস্থায় বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে আসেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে ওই বেপরোয়া ডাম্পারের চালক এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনাস্থল বাসের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এদিকে ঘটনার বিষয় জানতে পেরে থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে সেখানে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে প্রথমে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের সঙ্গেও শুরু হয় তর্কাতর্কি। প্রশাসনের অপদার্থতার জন্য লরি, ডাম্পার চালকদের দৌরাত্ম্য দিনেদিনে বেরে চলেছে বলে অভিযোগ তাদের।
আরও পড়ুন- পুরবোর্ড গঠনের পরেই দলীয় ‘লবি’ নিয়ে কড়া বার্তা মমতার, নতুনদের দিলেন নয়া পাঠ
ঘাতক ডাম্পারের চালককে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয় উত্তেজিত জনতা। তাদের দাবি, "প্রতিনিয়ত এলাকায় মালবাহী চার চাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা এলাকা। প্রশাসনকে বারংবার জানিয়েও কোনো ফল মেলেনি। আর সেই কারণেই আজ উৎসবের একদিন আগে মর্মান্তিকভাবে বলি হতে হলো এক নিরীহ শিশুকে"। প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জামাল শেখ এই প্রসঙ্গে বলেন,"এমনিতেই রাস্তার অবস্থা সঙ্গীন। তারমধ্যে এইভাবে মালবাহী বিভিন্ন ডাম্পার থেকে শুরু করে লরি দ্রুত গতিতে এখান দিয়ে যাতায়াত করে। ওই ডাম্পার টি রংরুট দিয়ে এসে শিশুটিকে পিষে দিয়ে গেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।”