সংক্ষিপ্ত
- দক্ষ হাতেই জেলা পরিষদ পরিচালনা করেছেন তিনি
- বীরভূমের ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে ছুটির আবেদন সভাধিপতির
- ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান তিনি
- জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে
দক্ষ হাতেই দায়িত্ব সামেলেছেন তিনি। তাঁর আমলে পরপর তিনবার জেলা পরিষদকে পুরস্কৃত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পদে বসার সাড়ে ছয় বছর পর বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপধিপতির দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি চাইলেন তৃণমূল নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী। স্ত্রীর অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে ৬ মাসের ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। যদি ছুটি আবেদন মঞ্জুর হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মমাফিক সভাধিপতির দায়িত্ব পাবেন সহ-সভাপধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডল। কিন্তু হঠাৎ করে কেন সভাধিপতি ছুটি চাইলেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। শুধু তাই নয়, বীরভূম জেলা পরিষদের আরও বেশ কয়েকটি পদে রদবদল হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। ২০১ ৩ সালে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন জিতে বীরভূম জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল, তখন সভাধিপতির দায়িত্ব পান বিকাশ। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর দ্বিতীয়বার সভাধিপতি হন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষের অনেক আগেই জেলা পরিষদের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহত চাইলেন তৃণমূল নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী। কিন্তু কেন? ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে ছুটি আবেদনের স্ত্রীর অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণের কথা উল্লেখ করেছেন সভাধপতি। প্রকৃত কারণ নিয়ে কিন্তু জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। কারণ, স্রেফ প্রশাসনেই নয়, বীরভূমে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ও অবর্জাভারের দায়িত্বেও ছিলেন বিকাশ রায়চৌধুরী। সেই দুটি দায়িত্ব থেকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এদিকে আবার বীরভূম জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে বন্দনা সাহাকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, বন্দনার জায়গায় জেলা পরিষদের নয়া বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ হচ্ছেন সহকারি সভাপধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডলের কো-মেন্টর রাজারাম ঘোষ। তৃণমূল নেত্রীর বন্দনা সাহা একই সঙ্গে দুটি সরকারি পদে থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তারজেরেই এই রদবদল বলে খবর। জেলা পরিষদের বিশেষ দায়িত্ব পেতে পারেন শাসকদলের বীরভূম জেলার সহ-সভাধপতি অরিজিৎ সামন্তও। তবে জেলা পরিষদের বিশেষ দায়িত্বে আসার কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন তিনি। শাসকদলের সহ জেলা সভাপতির বক্তব্য, 'পারিবারিক ও অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি চেয়েছেন বিকাশবাবু। আমি জেলা পরিষদে কোনও বিশেষ দায়িত্বে আসছি না।' বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, 'পিছিয়ে পড়া জেলা বীরভূমের উন্নয়নের দায়িত্ব দল আমাকে দিয়েছিল। আমি তা পালন করেছি। এখন পারিবারিক কারণে অব্য়াহতি চেয়েছি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক হিসেবে সবসময় থাকব।'