সংক্ষিপ্ত
একটি বন্ধ হোটেলের প্রাচীরের ভেতর থেকে নাবালিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ৷ তার মাথার ডানদিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে পুলিশ।
নারী নির্যাতনের পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে গোটা রাজ্যজুড়েই। প্রায়শই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের মতো খবর শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এবার এক নাবালিকার বস্তা বন্দী অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি মহকুমায়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি এলাকার রথখোলা এলাকায়৷ জানা গিয়েছে একটি বন্ধ হোটেলের প্রাচীরের ভেতর থেকে নাবালিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ৷ তার মাথার ডানদিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে পুলিশ। মৃত্যু নিশ্চিত করতেই তার মাথায় জোরালো আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
মৃতদেহ দেখে স্থানীয়দের অনুমান নাবালিকাকে শরীরিক নির্যাতন করে তাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা জগদীশ ব্যাপারির অভিযুক্ত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। মৃতদেহ লোপাট করতেই তা বস্তাবন্দি করে বন্ধ হোটেলের পাঁচিলের পাশে রেখে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রাতের অন্ধকারে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ছিলেন অভিযুক্ত জগদীশ। তবে তার আগেই হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে আসে বিষয়টি। এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
উত্তেজিত জনতা ওই ব্যাক্তির চায়ের দোকান ও তার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নকশালবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনি পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, গ্রামীন ডিএসপি, সার্কেল ইন্সপেক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হবে। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নাবালিকার বয়স আনুমানিক ১৩-১৪ বছর। পরিত্যক্ত হোটেলটির পাশে একটি চায়ের দোকানে তাকে প্রায়ই দেখা যেত। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও তাকে সেই চায়ের দোকানে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই সে ছিল বেপাত্তা।
আরও পড়ুন- রাতের রাস্তায় পঞ্জাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কনভয় থামিয়ে আহতদের প্রাণ বাঁচালেন সোনু সুদ
আরও পড়ুন- 'সবই হচ্ছে একটা পার্টির জন্য', সুষ্ঠু পুরভোটের দাবিতে কমিশনে গিয়ে তোপ বিজেপির