সংক্ষিপ্ত
- মুর্শিদাবাদের জে এন অ্যাকাডেমি
- সৌর বিদ্যুতেই চলছে স্কুল
- সাশ্রয় হচ্ছে বিদ্যুতের খরচ
- উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎও বিক্রি করেও আয়
পরাগ মজুমদার, মুর্শিদাবাদ: ছাত্র আজ যেন শিক্ষকের ভূমিকায়। অবশ্য এই কৃতিত্ব শিক্ষকদেরই। মুর্শিদাবাদ শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহরমপুর জে এন অ্যাকাডেমির ছাত্র শিক্ষকের দেখানো পথই আগামী দিনে অন্যান্য স্কুলের কাছেও উদাহরণ হতে পারে। মুর্শিদাবাদের এই সরকারি স্কুলে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যেই চলছে পাখা, জ্বলছে আলো।
ছাত্র এবং শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে বিকল্প সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুতের বিলের বিপুল বোঝা থেকেই মুক্ত হয়নি এই স্কুলটি, উল্টে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। স্কুলে প্রতিদিন ১০ কিলোওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ফলে বহরমপুরের এই স্কুলের ছাত্রদের লোডশেডিংয়ের সমস্যায় ভুগতে হয় না। প্রবল গরমেও তাই অন্তত পাখার হাওয়ায় নিশ্চিন্তে ক্লাস করতে পারেন শিক্ষক- পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, স্কুলে ব্যবহারের পরে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিগমকেও বিক্রি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- মাত্র দেড় কাঠা জমির লোভ, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাকে খুন করল ছেলে
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ মণ্ডল বলেন 'বছর কয়েক আগে আমরা অচিরাচরিত বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহারের জন্য সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করি। সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প চালু করার জন্য মোট ৬লক্ষ ৬৬ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়, এর জন্য স্কুলের কোনও খরচ হয়নি। এই স্কুলে সৌর বিদ্যুৎ চালুর ফলে ছাত্ররা স্কুল চলাকালীন সব সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে।'
অরবিন্দবাবুর দাবি, সৌর শক্তি ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের বিলের খরচ বাবদ প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেঁচে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। আবার নিগমকে বিদ্যুৎ বিক্রি করে স্কুলের উপার্জনও হচ্ছে।
স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র দ্বারিক ঘোষ বলে, 'আমাদের স্কুলের ক্লাসরুমগুলি খুব ছোট, ফলে বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলো ঢোকে না। ফলে প্রায় সবসময় আলো জ্বালিয়েই ক্লাস করতে হয়। আগে লোডশেডিং হলে আমাদের খুবই সমস্যা হত। এখন সেই সমস্যা মিটেছে।'