সংক্ষিপ্ত
- বীরভূমের দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা প্রভাত চট্টোরপাধ্যায়
- তাঁকে গিরগিটি বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত মণ্ডল
- এর পরেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত
- প্রথম থেকেই দলে ছিলেন ওই প্রবীণ নেতা
একদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পুরনো কর্মীদের যোগ্য সম্মান দেওয়ার কথা বলছেন। তখন অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যে অপমানিত বোধ করে দল ছাড়লেন বীরভূমের প্রবীণ তৃণমূল নেতা। এমন কী, তৃণমূল ছেড়ে তিনি বিজেপি- তেও যোগ দিতে পারেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
দলত্যাগী ওই তৃণমূল নেতার নাম প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বীরভূমের দুবরাজপুরের শহর তৃণমূল সভাপতি। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে দল ছাড়ার কথা জানিয়েও দিয়েছেন প্রবীণ ওই তৃণমূল নেতা। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই দলে ছিলেন এই প্রবীণ নেতা।
কিন্তু কেন দল ছাড়লেন প্রভাতবাবু? বীরভূমে এবার বেশ কয়েকটি বিধানসভায় পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। দুবরাজপুরেও শাসক দলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। রবিবার সেখানেই একটি কর্মিসভায় দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রভাতবাবুকে গিরগিটি বলে কটাক্ষ করেন। জেলা সভাপতির অভিযোগ ছিল, তৃণমূলে থেকেও দলের কোনও কাজ করছেন না প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, বিজেপি-র সঙ্গে যোগসাজশ রেখে দলের ক্ষতি করছেন ওই প্রবীণ তৃণমূল নেতা। রবিবারের ওই সভায় অবশ্য প্রভাতবাবু যাননি।
অনুব্রত মণ্ডলের এই মন্তব্যের পরেই দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা দাবি, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। ফলে দলের কাজে যোগ দিতে পারছেন না। জেলা সভাপতি তাঁর কোনও খবর রাখেন না বলেও অভিযোগ করেছেন প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। কোনও রাখঢাক না করেই তিনি জানিয়েছেন, অনুব্রতর মন্তব্যে অপমানিত বোধ করেই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবারই চিকিৎসার জন্য তাঁর দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার কথা। চিকিৎসকরা অনুমতি দিলে তিনি সুস্থ হওয়ার পরে বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। এ বিষয়ে এখনও অনুব্রত মণ্ডলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।