সংক্ষিপ্ত
- কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে, রোজগার নেই
- লকডাউনে দিন কাটছে চরম আর্থিক অনটনে
- রেশন চালে পেট ভরাচ্ছেন শবররা
- করুণ ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়
উন্নয়নের ছিটেফোঁটায় পৌঁছয়নি গ্রামে। লকডাউনের বাজারে কেমন আছেন তাঁরা? খোঁজ নেয় না কেউই। রেশনের চালের ভরসায় দিন কাটছে জঙ্গলমহলের শবর পরিবারগুলির।
আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ, বিপাকে আউশগ্রামের ডোকরা শিল্পীরা
বাঁকুড়ার রানিবাঁধে ব্লকের জঙ্গল ঘেরা প্রত্যন্ত গ্রাম কাঠিয়াম। গ্রামের বাসিন্দারা সকলেই শবর সম্প্রদায়ের। জঙ্গলের শুকনো কাঠ ও পাতার তৈরি থালা বিক্রি করে সংসার চলে বেশিরভাগ পরিবারের। বাড়তি রোজগারের আশায় চাষের মরশুমে অন্যের জমিতে দিনমজুরি করেন, এমন পরিবারও আছে দু'একটা। যৎসামান্য রোজগারে কোনওমতে সংসার চলে যায়, কিন্তু অভাব মেটে না। লকডাউনের বাজারে সেটুকু রোজগারও হারিয়ে চরম সংকটে পড়েছে শরব পরিবারগুলি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, অনাহারে দিন কাটলে আশ্চর্যের কিছু ছিল না। নেহাত রেশন থেকে চাল পাওয়া যাচ্ছে, তাই রক্ষে!
আরও পড়ুন: নতুন করে মালদহে করোনা আক্রান্ত ৭, জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ পেরোল
আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতায় শৌচাগারে কোয়ারেন্টাইনে যুবক, ফের সচেতনতার নজির পুরুলিয়ায়
কাঠিয়াম গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ সর্দার, চক্রধর পালেরা জানালেন, কিভাবে আমাদের দিন কাটছে, সে খবর নিয়ে কেউ আসেনি। রোজগার বন্ধ, হাতে কানা-কড়িও নেই। রেশনের চালই ভরসা, তাই দিয়ে কোনওমতে কষ্ট করে দিন চলে যাচ্ছে। কিন্তু সেই চালে কি তিনবেলা ভাতের জোগান দেওয়া সম্ভব? দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে হতদরিদ্র মানুষগুলির। প্রশাসনের তরফে যদি সাহায্য মেলে, সেই অপেক্ষাতেই আছেন সকলেই।