সংক্ষিপ্ত

 রাত পেরোলেই শিলিগুড়িতে পুরভোট। তার ঠিক চব্বিশ ঘন্টা আগে শিলিগুড়ির পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। পুরভোটের আগের মুহূর্তে আদৌ এতদিন ঠিক কী কাজ হয়েছে, এবং কী পরিমাণ কাজ বাকি রয়েছে, জনতার প্রশ্নের মুখোমুখি তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি-সহ অন্য়ান্য দল।

 

 রাত পেরোলেই শিলিগুড়িতে পুরভোট ( Siliguri Municipal Corporation Election 2022 ) । তার ঠিক চব্বিশ ঘন্টা আগে শিলিগুড়ির পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। পুরভোটের আগের মুহূর্তে আদৌ এতদিন ঠিক কী কাজ হয়েছে, এবং কী পরিমাণ কাজ বাকি রয়েছে, জনতার প্রশ্নের মুখোমুখি তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি-সহ অন্য়ান্য দল।

  'শিলিগুড়িতে আদৌ কি কাজ হয়েছে', জনগণের প্রশ্নের মুখোমুখি সব রাজনৈতিক দল

শিলিগুড়ি পুরভোটের আগে ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী রঞ্জন সরকার বললেন, কাজ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি, নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। অন্যান্য ওয়ার্ডে যা কাজ হয়েছে, তাঁদের থেকে যে খুব কম কাজ হয়েছে, সেটা নয়। সিপিআই কর্মী হাবুল ঘোষ বলেছেন, ২০১৫ সালে আমি দল থেকে নিউট্রালি কাজ শুরু করি। আমি কিন্তু ওয়ার্ডের লোককে প্রতারিত বা বঞ্চনার শিকার হতে দিইনি। এদিকে ১৫ নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, একেবারেই কোনও কাজই হয়নি।  সবথেকে বড় কথা এতদিন ভোট হয়নি। অপর একজন প্রশ্ন তোলেন এতগুলি বছরে আমরা কি নাগরিক পরিষেবা পেয়েছি। কংগ্রেসের তরফে সুবীর ভৌমিক বলেন, ১৫ নং ওয়ার্ডে দীর্ঘ চার বছরে কোনও কাউন্সিলর ছিল না। এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাউন্সিলরের একটা বড় ভূমিকা আছে। রাত-বিরেতে কাউন্সিলরের প্রয়োজন হতে পারে। দুঃসময়ে কাউন্সিলরের প্রয়োজন হতে পারে। এবং সঠিক অর্থে কাউন্সিলরের যে পরিষেবা দেওয়ার কথা, সেগুলির তৎপরতা মূলত নির্বাচনের মুখেই দেখা গিয়েছে।কিন্তু তার আগে এই ওয়ার্ডের মানুষরা বঞ্চিত ছিল।

আরও পড়ুন, '৩০ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি, টাকা নিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী-জেলা সভাপতি', বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

তবে কি এবার খেলা হবে তৃণমূলের

এরপরেই প্রশ্ন ওঠে তবে কি এবার খেলা হবে তৃণমূলের। স্লোগানের সঙ্গেই পাল্টা বলেন তৃণমূল কর্মী রঞ্জন সরকার বললেন, খেলা এবারেও হবে। আগেও তো হয়েছে। এখন বিষয়টা হচ্ছে শিলিগুড়িতে দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘদিন বোর্ড পায়নি। আমরা ১৭ জন কাউন্সিলর ছিলাম। পরবর্তীকালে আরও ৫ জন আমাদের সঙ্গে আসে। তবুও আমরা বোর্ডে যাইনি। যেহেতু একটা নির্বাচিত বোর্ড ছিল। কংগ্রেস সাপোর্ট করেছিল। বিজেপির দুই জন কাউন্সিলর , তারাও বাইরে থেকে সাপোর্ট দিয়েছিল। শিলিগুড়িতে আমাদের কাছে খুব কাঙ্খিত এই ভোট ছিল। কোভিডের কারণে দুই বছর ভোট হয়নি। এটা বাস্তব। কিন্তু শিলিগুড়ির সরকার, যেহেতু তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হয়েছেন, তাই শিলিগুড়ির মানুষ চাইছে এার শিলিগুড়ির ভোট তৃণমূলের হোক।খেলা হবে কিনা এপ্রশ্নের উত্তরে বিজেপির তরফে রাজু সাহা বলেন, বিধানসভায় তার উত্তর দিয়েছে শিলিগুড়ির জনগণ। শিলিগুড়িকে যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে, তার উত্তর শিলিগুড়ি পুরভোটে দেবে।

আরও পড়ুন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বজবজ, সাইথিয়ার পর এবার দিনহাটাতে জয় তৃণমূলের, সবুজ আবিরে মাতল কর্মীরা


'তৃণমূল প্রার্থী বহিরাগত',  'বহিরাগত' ইস্যুতে মুখ খুলল শাসকদল

এদিকে, এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বহিরাগত বলে অভিযোগ জানিয়েছে এলাকাবাসী। এখানে গৌতম দেবকেও পদ প্রার্থীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি তাঁকে করা হয়নি। কারণ তাঁর বিরুদ্ধেও বহিরাগত তত্ত্ব উঠেছে। বহিরাগত-র তকমা ইস্যুতে তৃণমূলের রঞ্জন সরকার বলেন, 'শিলিগুড়িই আমার শহর। আমি এখানে কাজ করেছি। শিলিগুড়িতেই জন্মেছি। বহিরাগত কাকে বলে আমি জানি না।'

আরও পড়ুন, লাগামছাড়া বিতর্কিত মন্তব্যের মাশুল, মদন মিত্রের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল