সংক্ষিপ্ত
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছে পরিবারের চার সদস্যকে।
বৃহঃষ্পতিবারই সিঙ্গুরে একই পরিবারে চার জনের খুনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা হুগলী জেলাজুড়ে। ঘটনাটি ঘটে সিঙ্গুরের নান্দায়। নান্দার প্যাটেল পরিবারের চার সদস্যকে একসাথে খুনের অভিযোগ ওঠে যোগেশ প্যাটেল নামে এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই সে ফেরার। এদিকে গতকাল থেকেই মূল খুনিকে ধরতে কোমড় বেঁধে মাঠে নামে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার সকালে মিলে খানিক সাফল্য ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম দীপক প্যাটেল। সে সম্পর্কে মূল অভিযুক্ত যোগেশের ভাই।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছে পরিবারের চার সদস্যকে। তবে আর্থিক সমস্যা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। গতকাল তা চরমে ওঠে। আর তখনই আমচরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্যাটেল পরিবারের চার জনকে কুপিয়ে দেয় যোগেশ। নিহতদের নাম দীনেশ প্যাটেল ও অনুষ্কা প্যাটেল। মধ্যবয়সি দীনেশের বাবা মাওজি প্যাটেল ও একমাত্র ছেলে ভাবিক প্যাটেলকে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এসএসকেএমে ওই দুজনের মৃত্যু হয়। এদিকে এই নৃশংস ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন-বিরোধী জোটের মাথায় ‘হাত’ নয়, কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট বার্তা মমতার
অন্যদিকে অন্যান্য আত্মীয়রাও কার্যত হতভম্ভ হয়ে পড়েছেন এই অকাল মৃত্যুতে। তবে যোগেশের খোঁজে ইতিমধ্যেই জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী শুক্রবার সকালেও প্যাটেল পরিবারে অলিগলিতে জোরদার তল্লাশি চালায় পুলিশ। নিয়ে আসা হয় স্নিপার ডগও। অন্যদিকে গতকালই বাড়ি ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ আসে পুলিশের হাতে। সেই সূত্র ধরেই এদিন দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতকে জেরা করে ঘটনা সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এমনকী কোনও গোপন আস্তানায় যোগেশ গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে কিনা তাও জানান চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে দীপকের সূত্র ধরেই এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ বাইরে থেকে মদত দিয়েছে কিনা তা জানারও চেষ্টা করা হচ্ছে।