সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস বিরোধী জোটে থাকবে আর পাঁচটা আঞ্চলিক দলের মতোই। বুধবার মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে দু’জনেই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তৃতীয়বারের জন্য বাংলা জয়ের পর গোটা দেশেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রভাব বেড়েছে অনেকটাই। এদিকে বছর ঘুরতেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট(Assembly Polls)। আর তারপরেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আর সেই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এখন থেকে জোটের সলতে পাকানো শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দল গুলি। তবে এবারের জোটে কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে চাপানউতর চলছিলই। এমনকী বিরোধী জোটের(Opposition alliance) প্রধান মুখ কাকে করা হবে তা নিয়েও চলছিল জল্পনা। এদিকে জোটের ঘুঁটি সাজাতেই ইতিমধ্যে একাধিকবার দিল্লিতে গিয়ে হাজির হয়েছে তৃণমূল(Trinamool) নেতারা। এবার গিয়েছেন খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বৈঠক সারলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। আর সেখানেই কংগ্রেস নিয়ে পাকা হয়েছে অবস্থান।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস বিরোধী জোটে থাকবে আর পাঁচটা আঞ্চলিক দলের মতোই। বুধবার মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ার(Sharad Pawar) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে দু’জনেই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। এদিকে এর আগে এনসিপি নেতা নবাব মালিক বলেছিলেন "কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি-বিরোধী জোট সম্ভব নয়।" এমনকী একাধিক রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তার নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় শরদ ঘনিষ্ট এনসিপি নেতাকে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আমরা দেখেছি মেঘালয়ে কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল গোয়াতেও গিয়েছে। সব রাজনৈতিক দলেরই সংগঠন বিস্তারের অধিকার রয়েছে। তবে আমাদের ধারণা কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী জোট সম্ভব হয়তো সম্ভব নয়। তবে আাগামীর সমীকরণ কি হয় আমরাও নজর রাখছি।”
আরও পড়ুন-পদ্ম শিবিরে বড়সড় ভাঙন, বসিরহাটে তিন শতাধিক বিজেপি কর্মীর যোগ তৃণমূলে
এদিকে নবাবের এই মন্তব্য নিয়ে তারপর থেকেই বিস্তর চাপানউতর শোনা যায়। এদিকে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে বা জোটে নেতৃত্ব নিয়ে আগে থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এমনকী কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই সম্প্রতি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মমতা। সেখানে কংগ্রেসের জাতীয় রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও বিস্তর কথাবার্তা হয়। এদিকে অন্যান্য আঞ্চলিক দলের মতো কংগ্রেসকেও বর্তমানে একই আসনে বসানো হলে তাদের আগামীর রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে তা নিয়েও বিস্তর চাপানউতর চলছে। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড কী ভাবছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের পর সমস্ত জোটের ঘুঁটি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন সেটাই দেখার।