সংক্ষিপ্ত

তদন্তকারী অফিসাররা বলছেন, লালগোলায় বিভিন্ন দামের হেরোইন তৈরি হয়। প্রতিটি মাদকের রং আলাদা হয়। ধবধবে সাদা হেরোইনের দাম সবচেয়ে বেশি। 

কাঁটাতারকে মাঝখানে রেখেই অবাধে চলছে মাদক চোরাচালান। আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিদের রমরমা ক্রমশ বাড়ছে। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ছুঁড়েই চলছে কোটি টাকার উন্নত মানের মাদক (high quality drugs) পাচার (smuggling)! ফিল্মি কায়দায় বাংলা ইন্দো-বাংলা সীমান্তের কাঁটাতারের উপর দিয়ে কোটি টাকা মূল্যের প্যাকেট ভর্তি মাদক ওপার বাংলায় পাচার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মাদক নেটওয়ার্কের সদস্যদের যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিল ভারতীয় জওয়ানেরা। 

ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রবিবার মুর্শিদাবাদের সীমান্তের শহর লালগোলা এলাকায়। বিএসএফের হাতে উদ্ধার হল ঐ বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগার। পাশাপাশি, সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ থেকে ভারত ভূখণ্ড মাদক নিয়ে প্রবেশ করার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার ২ পাচারকারীও। পাচার রুখতে বিএসএফ 'পাম্প অ্যাকশন গান' থেকে এক রাউন্ড গুলি চালায়। তারপরই পাচারকারীরা মাদক ভর্তি প্যাকেট ফেলে চম্পট দেয়। 

বিএসএফ জানিয়েছে, উন্নতমানের এক কেজি প্রায় ১.৫ কোটি টাকা মূল্যের ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। ওই হেরোইন বাংলাদেশের  পাচারের পরিকল্পনা ছিল। পাচারকারীরা ওপারের মাদক নিয়ে যেতে পারে। এমন ইনপুট বিএসএফের গোয়েন্দাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। সেই কারণে কয়েকদিন ধরেই বাড়তি নজরদারি চালানো হয়।জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের অন্য সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি পাচারকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। 

আরও পড়ুন, Covid-19 Precaution Dose: আজ থেকেই শুরু বুস্টার ডোজ কর্মসূচি, জানুন কীভাবে পাবেন এই টিকা

আরও পড়ুন, COVID 19 Omicron Tally- Live Updates: রাজ্য সহ দেশে চলছে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ 

বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায় ধৃতদের নাম মহম্মদ দিলওয়ার হোসেন এবং শেখ বকুল। তাদের বাড়ি রাজশাহি জেলায়। এই পাচারকারীরা এপার থেকে নিষিদ্ধ সিরাপের বোতল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় তাদের পাকড়াও করা হয়। তাদের কাছে থেকে ৮৫ বোতল নিষিদ্ধ সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, তারা মুর্শিদাবাদের এক মাদক কারবারির কাছ থেকে এই নিষিদ্ধ সিরাপের বোতলগুলি কিনেছিল। 

ধৃতরা জেরায় আরও জানিয়েছে, তারা এর আগেও নিষিদ্ধ সিরাপেরর বোতল এপার থেকে নিয়ে গিয়ে ওপারে বিক্রি করেছে। এপারের মাদক কারবারিদের সঙ্গে ফোনে তাদের যোগাযোগ হয়। তদন্তকারী অফিসাররা বলছেন, লালগোলায় বিভিন্ন দামের হেরোইন তৈরি হয়। প্রতিটি মাদকের রং আলাদা হয়। ধবধবে সাদা হেরোইনের দাম সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ছাড়াও মুম্বই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি এবং কলকাতাতেও এই ধরনের হেরোইনের চাহিদা রয়েছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে বিএসএফ নিজস্ব 'ইন্টার সার্ভিলেন্স' টিম দিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত করছে।