সংক্ষিপ্ত
- রাতের অন্ধকারে বিষধর সাপে ছোবল
- তরুণীকে নিয়ে ওঝার দ্বারস্থ পরিবারের লোকেরা
- বিষ নামাতে রাতভর চলল ঝাঁড়ফুক
- সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি
বিষধর সাপের কামড় খাওয়ার পর রাতভর চলল ওঝার ঝাড়ফুক! ফলে যা হওয়ার, তাই হল। সকালের দিকে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ল তরুণী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবায়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে বসেই রাজধানীতে নাশকতার ছক, মুর্শিদাবাদে ধৃত আলকায়দার ৬ জঙ্গি, কেরলে ধরা পড়ল আরও ৩
মৃতার নাম শ্যামলী সর্দার। বাড়ি, গোসাবার পাঠানখালি গ্রামে। রাতের অন্ধকারে কখন যে বিছানায় উঠে পড়েছিল বিষধর কালাচ সাপ,তা টের পাননি কেউই। ঘুমন্ত অবস্থায় শ্যামলীকে ছোবল মারে সাপটি। যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠে তিনি। কী ব্য়াপার? প্রথমে রীতিমতো ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা ও প্রতিবেশীরা। শেষপর্যন্ত হাতের ক্ষতচিহ্ন দেখে বোঝা যায়, ওই তরুণীকে সাপের কামেড়েছে। প্রতিবেশীরা কিন্তু শ্যামলীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরিবারের লোকেদের তাতে কর্ণপাত করেননি। মেয়েকে নিয়ে এক ওঝার কাছে চলে যান তাঁরা। ব্যাস আর কী! রাতভর ঝাঁড়ফুক করে সাপের বিষ ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করতে থাকেন ওঝা। বিভিন্ন রকমের গাছের শিকড়ও খাওয়ানো হয় ওই তরুণীকে। এদিকে ততক্ষণে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। বাড়িতে কয়েকবার বমিও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে জনসভা থেকে পুলিশকে 'হুমকি', থানায় ডেকে জেরা বিজেপি-এর জেলা সভাপতিকে
এভাবেই কেটে যায় রাত। ভোরের দিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যান ওঝা। শনিবার শেষপর্যন্ত সাপের কামড় খাওয়া তরুণীকে নিয়ে আসা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিল না। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সাপে কামড়ানোর পর মেয়েকে ওঝার কাছে নিয়ে গেলেন কেন? পরিবারের লোকের বক্তব্য, 'ওঝার কাছে নিয়ে সুস্থ হয়ে যাবে, এই ভেবেই নিয়ে গিয়েছিলাম।' চিকিৎসকরা অবশ্য বলছে, সচেতনতার অভাবের বেঘেরো প্রাণ গেল ওই তরুণীর।