সংক্ষিপ্ত
- গর্ভধারিনী মাকেই ডাইনি অপবাদ
- দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিষ্ণুপুরের ঘটনা
- সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
- অভিযুক্ত ছেলে এবং বউমাকে আটক করল পুলিশ
মা ডাইনি, এই অপবাদ দিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকেই বের করে দিল ছেলে। ছেলেকে যোগ্য 'সঙ্গত' করল তার স্ত্রীও। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে। বৃদ্ধা মায়ের উপরে অত্যাচার চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ছেলে এবং তার স্ত্রী-সহ মোট চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিষ্ণুপুরের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামে। মালতী মাজি নামে ওই বৃদ্ধার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। মেয়েদের অনেক দিন আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ৯ বছর আগে মালতীদেবীর স্বামীও মারা গিয়েছেন। বছর দুই আগে ধুমধাম করেই বড় ছেলের বিয়ে দেন মালতীদেবী। আর তার পর থেকেই তাঁর জীবনে অন্ধকার নেমে আসে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, মিন্টু মাজি নামে বৃদ্ধার বড় ছেলে এবং তার স্ত্রী মালতীদেবীর উপরে নির্যাতন শুরু করে। তাঁকে ঠিকমতো খাবার, এমনকী পানীয় জলও দেওয়া হত না। বাধ্য হয়ে লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ শুরু করেন বৃদ্ধা। তাঁর থাকার ঘরে আলো, পাখারও ব্যবস্থা করত না কোনও ছেলেই। মালতীদেবীর ছোট ছেলেও তাঁকে দেখত না বলে অভিযোগ। মালতীদেবীর দুই ছেলেই পেশায় রাজমিস্ত্রি।
শেষ পর্যন্ত মালতীদেবীকে ডাইনি অপবাদ দিতেও পিছপা হয়নি ছেলে মিন্টু এবং তার স্ত্রী টুম্পা মাঝি। নিজের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাহায্যে শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতে বৃদ্ধা মাকে বাড়ির বাইরে বের করে দেয় মিন্টু। অভিযোগ, বাড়ি, জমি সবকিছু নিজের নামে লিখে নিয়ে এই কাণ্ড ঘটায় সে।
বৃদ্ধাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই এগিয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। পুলিশ এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে তাঁর উপরে নির্যাতনের অভিযোগে মিন্টু, তার স্ত্রী টুম্পা এবং দীপালি ও রবীন কুতি নামে মিন্টুর শ্বশুরবাড়ির দু' জনকে আটক করে নিয়ে যায়।