সংক্ষিপ্ত
- আম্ফানের ঠিক এক বছর পর
- এবার ধেয়ে আসছে যশ
- প্রস্তুতি তুঙ্গে, জারি করা হয়েছে সতর্কতা
- কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে ২৪ পরগনা
হাতে আর মাত্র কটা দিন, তারই মাঝে সেরে ফেলতে হবে প্রস্তুতি। শুক্রবার বিকেল থেকেই শুরু হবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। মিলেছে এমনই পূর্বাভাস। ঘূর্ণীঝড়ের দাপটে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ যতটা সম্ভব হ্রাস করার জন্যই এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। স্থানীয় জেলা শাসক উলগা নাথান জানান- আমরা আবহাওয়া দপ্তর এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি যবে থেকে হাওয়া অফিস আমাদেরকে মেসেজ দিয়েছে একটা নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে. প্রথমে একটি চিপ সেক্রেটারি লেভেলের মিটিং হয়েছে, সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত জেলাপরিষদ পঞ্চায়েত সমিতি সবাইকে নিয়ে অনেক বার মিটিং হয়ে গেছে আরো হবে.যাতে আপৎকালীন অবস্থায় আমরা তৈরি থাকি।
কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তারা ইতিমধ্যে-
১. ২৪ পরগনা জুড়ে যত দ্বীপ আছে কোস্টাল এরিয়া আছে সেখানে সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যত ট্রান্সফর্মার রয়েছে হাইভোল্টেজ লাইন রয়েছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে আগে থেকেই।
২. ২৬ তারিখ যদি সাইক্লোন ঢোকে তার জন্য এই এলাকা পুরোপুরি তৈরি রয়েছে,.দক্ষিণ 24 পরগনা গ্রাম পঞ্চায়েতের যত দুর্বল ব্রিজ রয়েছে সেই ব্রিজ গুলোকে সারাইয়ের কাজ চলছে।
৩. PWD এর জেসিপি উড কাটার মেশিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এনডিআরএফ টিম ইতিমধ্যেই পাথরপ্রতিমা, সাগর, বাসন্তী, গোসাবা, ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছে গেছে। কোস্টগার্ড, সিভিল ডিফেন্সকে ধীরে ধীরে সব জায়গায় মুভমেন্ট করানো হচ্ছে।
৪. মৎস্যজীবী এবং চাষীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও মিটিং হবে। কোন মৎস্য জীবিদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হবে না। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে এবং ফিশারি ডিপার্টমেন্ট এর তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে সব জায়গায়।
৫. ঝড়-বৃষ্টিতে চাষের জমির খুব ক্ষতি হয় ইতিমধ্যেই চাষীরা তাদের ফসল কাটতে শুরু করেছে। নোনা জল ঢুকলে প্রচুর মাছ মরে যায় তার জন্য পাম্পের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে নোনা জল ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে ওই পাম্পের মাধ্যমে নোনাজল তুলে নেওয়া যায়।
৬. সমস্ত কাজই কোভিড প্রটোকল মেনে করা হচ্ছে। সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স থাকছে মেডিকেল ক্যাম্প করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে, সেই সময় যদি কেউ কোভিড এ আক্রান্ত হয় তাকে সঙ্গে সঙ্গে কোয়ারেন্টাইন করা হবে ও ফুড ড্রাই ফুড সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
৭. গোসাবায় প্রচুর দ্বীপ আছে যেখান যাতায়াতে প্রচুর অসুবিধা হয়। ইতিমধ্যে সেখানে সমস্ত অফিসারদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রচুর স্যাটেলাইট ফোন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে কারন ঝড়ের সময় ফোনের লাইন ডিস্টার্ব হয়ে যায়।
৮. বিডিও অফিস এইচডি অফিসের কন্ট্রোল থাকবে। সেখানে থেকে পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হবে। এমনকি কোস্টগার্ড ও কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। সবার ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, যাদের সার্ভিস দরকার তারা সবাই উপস্থিত থাকবে।
এদিন বৈঠকে স্পষ্ট ডিএম জানিয়ে দেন,- এবছর আমাদের টার্গেট থাকবে যেন কোন মানুষ মারা না যায়। ঝড়ে প্রতিবছরই মানুষের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়, এবার সেই ক্ষয় রুখতেই আগে থেকে তৎপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসন।