সংক্ষিপ্ত
- দিল্লি গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়
- বুধবারই বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা
- মঙ্গলবার বিধানসভার পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন
- দলে সক্রিয় করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ তৃণমূল
তবে কি বুধবারই বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন শোভন- বৈশাখী? জল্পনা বাড়িয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই বিধানসভার ফিসারিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই শোভনের বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনার খবর একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু বুধবার তিনি বিজেপি-তে দিচ্ছেন, এমন খবরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার বিমানে বৈশাখীকে নিয়ে দিল্লি রওনা দেন শোভন।
আরও পড়ুন- ৭২ ঘন্টায় ঘুরে গেল খেলা, ইস্তফায় দলের সঙ্গে আরও দূরত্ব বাড়ালেন শোভন
আরও পড়ুন- কান্নায় ভেঙে পড়ে ইস্তফা বৈশাখীর, শোভনকে পাশে বসিয়েই নিশানা মমতাকে, দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন- পার্থর বাড়িতে বরফ গলার ইঙ্গিত, ইস্তফা দিলেন না বৈশাখী
তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকেই শোভনকে দলে টানতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বিজেপি। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয় শোভনের। লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পরে শোভনকে দলে সক্রিয় করে তুলতে সচেষ্ট হয় তৃণমূলও। গত ২৩ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মঙ্গলবার তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে ফিশারিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেওয়াল লিখনটা আরও স্পষ্ট করে দেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে কলেজ অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও শেষ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে ইস্তফা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগামী বছর কলকাতা পুরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে সফল হতে গেলে গেরুয়া শিবিরের বড় অস্ত্র হতে পারেন শোভন। দিল্লিতে বিজেপি-র সদর দফতরে শোভন এবং বৈশাখী এ দিন বিকেলে আনুষ্ঠানিক যোগদান করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে কোনওপক্ষই মুখ খুলতে নারাজ। শেষ পর্যন্ত শোভন বিজেপি-র পতাকা হাতে তুলে নিলে মুকুল রায়ের পরে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের কাছে সবথেকে বড় ধাক্কা হতে চলেছে।