সংক্ষিপ্ত
মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রাখল আগের রায় অর্থাৎ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই। এই নিয়ে তৃতীয় বার ডিএ মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। রায় দিতে গিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ রাজ্যের আবেদনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রাখল আগের রায় অর্থাৎ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই। এই নিয়ে তৃতীয় বার ডিএ মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। রায় দিতে গিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ রাজ্যের আবেদনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে নবান্ন।
ডিএ মামলায় রাজ্যের রাজ্যের হার। কলকাতা হাইকোর্টের রায় গেল রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে। কারণ রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চলছিল ডিএ মামলা। তবে রাজ্য সরকারি কর্মীরা কবে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পাবেন তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কারণ রাজ্য প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
রায় দিতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা হচ্ছে না। দীর্ঘ শুনানি শেষের পর কী ভুল রয়েছে তা সংশোধন করা আদালতের কাজ নয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ বা রায়ই বহাল রেখেছে। পাশাপাশি দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ডিটেল এনকোয়ারি বা স্ক্রটিনি যে আবেদর রাজ্য করেছে তা প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলনে নেমেছে। এই নিয়ে অতীতেও মামলা হয়েছে। হাইকোর্টে রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল ডিএ বা মাহার্ঘ ভাতার যে আর্জি রাজ্য সরকারি কর্মীদের তা ন্যায় সঙ্গত। গত ২০ মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যেই বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রায় মানা হয়নি। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এই মামলার শুনানি হবে আগামী ৭ নভেম্বর।
ভিড়ের ঠেলায় বামেদের ইনসাফ সভার স্থান বদল, আনিস খানের হত্যাকারীদের গ্রেফতারি চাইলেন বৃদ্ধ বাবা
'দুর্নীতি জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে গেছে', আক্ষেপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের